পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৬৭

বনপৰ্ব্ব goት হস্তিন ছাড়িবার তিন দিন পরে পাণ্ডবেরা কাম্যক বনে উপস্থিত হইয়া, তথায় কিছুকাল বাস করিতে লাগিলেন । সূর্য্যের প্রসাদে অন্নচিন্তা ঘুচিয়াছে। দ্রৌপদী সকলকে পরিতো পূর্বক আহার করাইয়া শেষে নিজে খাইতেন । তাহার আহার-শেষে সমস্ত খাদ্য ফুরাইয়। যাইত । এই ভাবে তাহাদের দুঃখের দিনগুলিও বেশ সুখে কাটিতে লাগিল । এই বনে এক দুরন্ত রক্ষস ছিল । তাহার নাম কিৰ্ম্মীর । ভীম একচক্র নগরে যে বক রাক্ষসকে বধ কয়িয়াছিলেন, এই কিৰ্ম্মীর সেই বকেরই ভাই । ইহার যেমন চেহার তেমনি স্বভাব । এই দুরন্ত রক্ষসের ভয়ে তপস্বীদের পর্য্যন্ত রাত্রে ভাল করিয়া নিদ্রা হইত না । পাণ্ডবদিগকে দেখিয়া কি স্ট্রীর ত চটিয়াই লাল ! ভীম তাহার ভাইকে মারিয়াছেন, আজ সর্ববাগ্রেই ভীমকে মারিয়া সে বকের মৃত্যুর প্রতিশোধ লইবে ; তার পর আর সকলকে টুকুর টুকরা করিয়া ছিড়িবে ! এই ভাবিয়া রাক্ষস চীৎকারে আকাশ ফাটাইয়া, মুখ দিয়া আগুন বাহির করিতে করিতে ভীমকে আক্রমণ করিল। ভীম কিন্তু অতি সংক্ষেপেই কাৰ্য্য শেষ করিয়া ফেলিলেন । যুদ্ধ করিতে করিতে তিনি রাক্ষসের দুই প। ধরিয়া বন বন শব্দে এমন কয়েকটি ঘুরপাক দিলেন যে, সেই বিষম পাকে তাহার পেটের নাড়ী মাথায় গিয়া উঠিল । ইহার পর ভৗম রাক্ষসের যে দশা করিলেন, তাহ বিশেষ করিয়া না বলাই ভাল ! কিৰ্ম্মীরের মৃত্যুতে