পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটদের মহাভারত אר পাণ্ডবদের আনন্দের সীমা রহিল না । তিনি যে কয়দিন কাম্যক বনে ছিলেন, প্রায় সর্ববক্ষণ জপ, তপ ও নান সৎপ্রসঙ্গে অতিবাহিত করিতেন । মাঝে মাঝে মুনিবর যুধিষ্ঠিরকে পাশা খেলার আশ্চৰ্য্য কৌশল শিক্ষা দিতেন । বিদায়কালে মহর্ষি পাণ্ডবদিগকে এই বলিয়া আশ্বাস দিয়৷ গেলেন যে, “তোমাদের দুঃখের দিন শীঘ্রই ফুরাইবে ।” ইছার কিছুকাল পরে স্বর্গ হইতে লোমশ মুমি কাম্যকবনে আসিলেন । পা গুবদিগকে অর্জনের সংবাদ দিয়া তিনি বলিলেন, “অর্জন চিত্ৰসেন গন্ধবের্বর কাছে আশ্চৰ্য্য সঙ্গীত বিদ্যা শিক্ষা করিয়াছেন এবং ইন্দ্রের অস্ত্রে নিবাতক বচ নামক দৈত্যগণকে বধ করিয়া দেবতাদিগকে তুষ্ট করিয়াছেন।” ইহা শুনিয়া পাণ্ডবেরা অত্যস্ত সুখী হইলেন বটে, কিন্তু অর্জনের দীর্ঘ অদর্শনে তাঁহাদের যে কি ভয়ানক কষ্ট হইতেছে, তাহ গোপন রাখিতে পারলেন না । মুনি বলিলেন, “তোমর শান্ত হও । তিনি শীঘ্রই মর্ত্যে ফিরিবেন । তাহার ইচ্ছা এই যে, কিছুকালের জন্য তোমরা তীর্থভ্রমণে বহির হও ।” অৰ্জ্জুনের ইচ্ছা জানিতে পারিয়া পাণ্ডবেরা ধৌম্য ও লোমশ মুনির সহিত তীর্থভ্রমণের জন্য আশ্রম ত্যাগ করিলেন । তার পর কয়েকমাস তীর্থে তীর্থে কাটাইয়া একদিন তাহারা কৈলাস পর্ববতের নিকট উপস্থিত হইলে, প্রবল ঝটিকা আরম্ভ হইল। গন্ধমাদন পৰ্য্যন্ত পহুছিতে না পহুছিতে এমন অবস্থা হইল যে, কাহারও আর নড়িবার শক্তি