পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

본 ছোটদের মহাভারত বলিয়। সেই সপর্যপী রাজ যুধিষ্ঠিরকে কতকগুলি কূট প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলেন । যুধিষ্ঠিরও একে একে সবগুলিরই উত্তর দিলেন । ইহাতে সস্তুষ্ট হইয়া রাজা ভীমকে মুক্তিদান করিলেন এবং নিজেও শাপমুক্তি হইয়। স্বর্গে চলিয়া গেলেন । এই ঘটনার পর পাণ্ডবেরা কিছুকাল কাম্যকবলে বাস করিয়া আবার দ্বৈতবনে ফিরিয়া আসিলেন । এখানে ঘোষপল্লী নামক স্থানে ধৃতরাষ্ট্রের প্রায় এক লক্ষ্য গাভী পালিত হইত। একদিন কর্ণ ও শকুনি দুৰ্য্যোধনকে বলিলেন, “পাণ্ডবেরা এখন নিতান্ত ভিখারীর ন্যায় বনে বনে ঘুরিয়া বেড়াইতেছে । তাহাদের পেটে অন্ন নাই, পরণে বসন নাই, মাথা রাখিবার স্থান নাই। তোমার অতুল ঐশ্বৰ্য্য দেখাইয়: তাহাদের মনে ব্যথা দিবার এই উপযুক্ত অবসর ! এস, সকলে মিলিয়া খুব জাকজমকে শোভা-যাত্রার আয়াজন করি । অন্ধরাজ আপত্তি করিলে বলিব, আমরা ঘোঘপল্লীতে গরু দেখিতে যাইতেছি ।” কোন একটা অন্যায় কাজের কথা শুনিলেই দুৰ্য্যোধনের মহা উৎসাহ হইত। কর্ণ ও শকুনির পরামশে তিনি হাতীঘোড়া, সৈন্য-সামন্ত লইয়া দ্বৈতবনে শোভা-যাত্রা করিলেন। মহিলাগণকেও সঙ্গে লইতে ভুলিলেন না। পাণ্ডবেরা যেখানে বাস করিতেন, তাহার নিকটেই একটি সরোবর ছিল । একদিন গন্ধৰ্বর্বরাজ চিত্ৰসেন সপরিবারে সেই সরোবরে স্নান করিতেছেন আর চারিদিকে গন্ধৰ্বর্ণ-সৈন্ত