পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Պնք ছোটদের মহাভারত পড়িয়া অৰ্জ্জুনের শরণ লইতে বাধ্য হইলেন। স্বর্গে এই চিত্ৰসেনই অর্জনকে সঙ্গীতবিদ্যা শিক্ষা দিয়াছিলেন। পরস্পর সাক্ষাৎমাত্র সকল বিবাদ মিটিয়া গেল । দুই বন্ধুতে কোলাকুলি করিয়া যার-পর-নাই আনন্দিত হইলেন । চিত্ৰসেন বলিলেন, “এই দুষ্টেরা গরু দেখার ছল করিয়া তোমাদিগকে অপমান করিতে আসিয়াছিল । তাই আমি ইহাদিগকে বধিয়াছি ।” সে কথায় অর্জন বলিলেন, “বেশ, উপযুক্ত শিক্ষাই হইয়াছে।” ইহার পর সকলে যুধিষ্ঠিরের নিকট উপস্থিত হইলে, তিনি স্বহস্তে দুৰ্য্যোধন প্রভূতির বন্ধন খুলিয়া দিলেন এবং শোভস্বাত্রার উদ্দেশু শুনিয়া বলিলেন, “ভাই, এমন কাজ আর করিও না ।” দুৰ্য্যোধন লজ্জায় অধোবদন হইয়া সপরিবারে হস্তিন যাত্রা করিলেন। পথে কর্ণ ও শকুনির সহিত সাক্ষাৎ হইলে বলিলেন, “তোমরা যে কে কত বড় বীর, তাহ বুঝিতে আর বাকি নাই । আমার সকল সাধই মিটিয়াছে ; তোমরা ফিরিয়া যাও । দুঃসাশন হস্তিনার রাজা হউক । আমার এখন মৃত্যুই ভাল।” দুৰ্য্যোধনের মান কি সহজে ভাঙ্গে ! কর্ণ, শকুনি ও দুঃশাসন কত কষ্টে যে র্তাহাকে প্রবোধ দিয়াছিলেন, তাহা আর কি বলিব । যাহা হউক, শেষে সকলে হস্তিনীয় উপস্থিত হইলে কর্ণ স্পৰ্দ্ধা করিয়া বলিলেন, “পণ্ডিবেরা চারি: