পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#7 o ছোটদের মহাভারত করতে লাগিলেন যে, কোপন-স্বভাব দুর্ববাসাও অসন্তুষ্ট হইবার কারণ খুজিয়া “পাইলেন না। বিদায়কালে দুর্ববাস। বর দিতে চাহিলে দুৰ্য্যোধন বলিলেন, “আপনি যদি দয়। করিয়া দ্রৌপদীর আহার-শেষে সশিয্য পাণ্ডবদের আতিথ্যগ্রহণ করেন, তবেই আমি কৃতার্থ হই ।” এই কথায় সম্মত হইয়া মুনিবর প্রস্থান করিলে দুৰ্য্যোধন ভাবিলেন, ‘পাণ্ডবদের আর রক্ষা নাই । অসময়ে দশ হাজার শিষ্যসহ দুৰ্ব্বাসকে পরিতোষপূর্বক আহার করান তাহদের পক্ষে অসম্ভব । সুতরাং মুনির সাপে এবার সকলকে ভস্ম হইতে হইবে ।’ কর্ণ ও শকুনি দুৰ্য্যোধনের এই ফন্দীর কথা শুনিয়া ধন্য ধন্য করিতে লাগিলেন । পাণ্ডবেরা তখন কাম্যক বনে বাস করিতেছিলেন । এক রাত্রিকালে আহারাদির পর সকলে বিশ্রাম করিতেছেন, ঘরে তার একরত্তি কিছুই নাই, এমন সময় সশিষ্য ড্রপবাস আসি, উপস্থিত ! তাহাকে দেখিয়া যুধিষ্ঠির মাথায় হাত দিয়া বসিয়া পড়িলেন । এখন উপায় ! দ্রৌপদী যখন শুনিলেন যে, মুনিবর সকলের আহারের আয়োজন করিতে বলিয়া স্নান আহ্নিকের জন্য গঙ্গায় গিয়াছেন, তখন ভয়ে তাহার আপদমস্তক কঁাপিতে লাগিল । না জানি কপালে কত দুঃখই আছে ! অন্য উপায় না দেখিয়া দ্রৌপদী প্রাণপণে শ্ৰীকৃষ্ণকে ডাকিতে লাগিলেন । সে কাতর ডাক কি বৃথা হইতে পারে ? চক্ষের পলকে কৃষ্ণ দেখা দিয়৷