পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনপৰ্ব্ব brö বলিলেন, “ভয় কি, আমি সব ব্যবস্থা করিতেছি ! ক্ষুধায় আমি বড় কাতর ; অগ্রে আমাকে কিছু থাইতে দাও।” দ্রৌপদী বললেন, “থালা যে শূন্য ! ঘরে একটি ক্ষুদ্রগুড়াও নাই, কি দিব ?” শ্ৰীকৃষ্ণ বলিলেন, “ভাল করিয়া দেখ, সামান্য কিছু হুইলেই চলিবে ।” তখন দ্রৌপদী থালখানা লইয়া আসিলেন । কৃষ্ণ বলিলেন, “ঐ যে শাক-ভাতের কণা রহিয়াছে, উহাতেই আমার তৃপ্তি হুইবে ।” ইহার পর দ্রৌপদী লজ্জায় মাথা নীচু করিয়া সেই কণিকা-পরিমাণ শাক ও ভাত কৃষ্ণকে দিলে, তিনি তাহ মুখে দিয়া বলিলেন, “বিশ্বাত্মা পরিতৃপ্ত হউক ।” ওদিকে কোথায় দুর্ববাসী ও র্তাহার শিষ্যগণ তাড়াতাড়ি স্নান-আহ্নিক সারিয়া খাইতে আসিবেন, না সকলের পেট ফুলিরা দমসম! আর র্তাহাদের উদগারেরই বা কি ঘট । হঠাৎ এরূপ হইবার কারণ কি, বুঝিতে ন পারিশ্ন। সকলে ত অবাক । মুমিঠাকুরের সে রাত্রি গল্পীর তীরেই পড়িয়া রছিলেন ! ভোর হইলে ছদবস। সকলকে জাগাইয়া বলিলেন, “এবার পাণ্ডবদের কাছে আচ্ছ। জব্দই হইলাম । খাওয়াদাওয়া মাথায় থাক, এখন চল পলাইয়া বঁচি ” এই বলিয়। মুনিবর সকলকে লইয়৷ অধোবদনে প্রস্থান করিলেন । শ্রীকৃষ্ণের দয়ায় পাণ্ডবদের সকল বিপদ কাটিয়া গেল ।