পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bra ছোটদের মহাভারত এ সংবাদ হস্তিনায় পহুছিলে দুৰ্য্যোধন খুব দুঃখিত হইলেন বটে, কিন্তু পাণ্ডববিনাশে একেবারে নিরাশ হইলেন না । অন্যায় কাজে তাহার মত সিদ্ধহস্ত আর কে ! এবার তিনি মনে মনে দ্রৌপদী-হরণের ফন্দী আঁটিলেন । দুৰ্য্যোধন ভাবিলেন, কেহ যদি কৌশলে দ্রৌপদীকে হরণ করিয়া আনিতে পারে, তাহা হইলে পত্নীর শোকে পাণ্ডবের নিশ্চিতই প্রাণ বিসর্জন দিবে ? এই ভাবিয়া তিনি তাহার ভগিনীপতি জয়দ্রথকে কাম্যকবনে পাঠাইয়া দিলেন । দুষ্টের কুপরামর্শে এই ভয়ানক কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়া জয়দ্রথকে ভীম অর্জনের হস্তে বিলক্ষণ নাকাল হইতে হইল । যুধিষ্ঠির রক্ষা না করিলে সে যাত্রা তাহার প্রাণ লইয়া ফিরিয়া আসাই কঠিন হইত । সেখান হইতে নিস্কৃতি পাইয়া জয়দ্রথ হিমালয়ে গিয়া মহাদেবের তপস্যায় নিযুক্ত হইলেন ! মহাদেব প্রসন্ন হইয়া এই বর দিলেন যে, “তুমি অৰ্জ্জুন ব্যতীত অপর চারি পাণ্ডবকে পরাজয় করিতে পারিবে ।” বনবাসের দিন যতই ফুরাইয়া আসিতে লাগিল, কর্ণের অৰ্জ্জনবধের প্রতিজ্ঞ এবং. তাহার অভেদ্য কবচ ও কুণ্ডলের কথা ভাবিয়া যুধিষ্ঠির ততই উদ্বিগ্ন হইতে লাগিলেন। এদিকে দেবরাজ ইন্দ্র অর্জনের রক্ষার জন্য এক আশ্চৰ্য্য উপায় স্থির করিয়া বুখিয়াছিলেন। কৰ্ণ প্রতিদিন স্নানের পর সূর্য্যের আরাধনা করিতেন ।