পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাটপৰ্ব্ব ఏ ) কীচক যেই দুই প। অগ্রসর হইয়াছে, আমনি ভীম তাহাকে আক্রমণ করিলেন। কীচকও বড় সহজ বীর ছিল না, কিন্তু ভীমের কাছে পরিবে কেন ? যুদ্ধ করিতে করিতে ভীম এমনই উত্তেজিত হইয়া পড়িলেন যে, কচকের হাত, পা ও মাথ। তাহার পেটের মধ্যে না চুকাইয়া ছাড়িলেন না ! সে অবস্থায় দেখিলে তাহাকে মানুষ বলিয়া চিনে কাহার সাধ্য ! ঠিক যেন একটা প্রকাণ্ড মাংসের পিণ্ড । ভীম চলিয়া গেলে দ্রৌপদী আসিয়া বলিলেন, “আমার গন্ধৰ্ব্ব স্বামীর হস্তে তুষ্টের এই শাস্তি হইয়াছে।” সেনাপতির মৃত্যুতে রাজ্যের সকলেই ভয় পাইল । রাজারাণীও বিশেষ দুঃখিত হইলেন । সুদেষ্ণার আরও একশত পাচ ভাই ছিল । তাহার একেবারে ক্ষেপিয়া উঠিল এবং দ্রৌপদীকেই ক'চকের মৃত্যুর একমাত্র কারণ জানিয়, ভ্রাতার মৃতদেহের সহিত র্তাহাকে ও বাধিয়। শ্মশানে লইয়। চলিল। এতগুলা মণ্ডার হাতে পড়িয়া দ্রৌপদীর দৃর্দশার অবধি রহিল না। কঁদিতে কাদিতে তিনি শুধু ‘জয়’ ‘জয়ন্ত ‘বিজয়’ ইত্যাদি বলিয়া ডাকাডাকি করিতে লাগিলেন । সে রাত্রে ভীমের আর নিদ্রা হইল না। দ্রৌপদীর কান্না শুনিয়া তিনি সাজ-পোষাক বদলাইয়া তখনই শ্মশানে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং একে একে কীচকের সব ভাইগুলিকে যমালয়ে পাঠাইয়৷ দ্রৌপদীকে উদ্ধার করিলেন । রাত্রের অন্ধকারে কেহই তাহাকে চিনিতে পারিল না ।