পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెషి ছোটদের মহাভারত ইহার পর গন্ধর্বের্বর ভয়ে বিরাটরাজ্যে লোকের বাস করাই দায় হইয়া উঠিল । রাজার অনুরোধে রাণী সুদেষ্ণা দ্রৌপদীকে ডাকিয়া বলিলেন, “তুমিই এই সকল অনর্থের মূল ! তোমাকে আশ্রয় দিতে আর সাহস হয় না ।” অজ্ঞাতবাসের বৎসর পূর্ণ হইতে আর তের দিন মাত্র বাকি ছিল। সেইজন্য দ্রৌপদী বলিলেন, “মা এতদিনই যদি আশ্রয় দিয়াছেন, দয়া করিয়া অার কয়েকটা দিন অপেক্ষা করুন । তার পর আমি নিজেই চলিয়া যাইব । বিশ্বাস করুন, এই সময়ের মধ্যে আমার স্বামীর কোনই উৎপাত করিবে না।” এ কথায় স্বদেষ্ণা আর কোন আপত্তি করিলেন না । এদিকে দুৰ্য্যোধনের গুপ্তচর পাণ্ডবদের অজ্ঞাতবাসের প্রথম হইতেই দেশে দেশে ঘুরিয়৷ বেড়াইতেছে । কিন্তু কোথাও যখন র্তাহীদের সন্ধান পাওয়া গেল না, তখন ভীষ্ম, দ্রোণ, বিছর প্রভূতি কয়েকজন ভিন্ন আর সকলেই মনে করিল, পাণ্ডবেরা জীবিত নাই ! যে সকল চর বিরাটরাজ্যে গিয়াছিল, তাহারা ফিরিয়া আসিলে, গন্ধবের্বর হস্তে সেনাপতি কীচক এবং তাহার ভাইদের মৃত্যুর কথা শুনিয়া হস্তিনীয় সকলেই খুব খুসী হইল । এই কীচকের ভয়ে এত দিন কেহ বিরাটের ত্রিসীমায়ও ঘেঁসিতে সাহস করে নাই। এখন ত্ৰিগৰ্ত্ত দেশের রাজা