পাতা:ছোটদের মহাভারত-যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Տ B ছোটদের মহাভারত যুধিষ্ঠিরের কথায় ভীম উৎসাহে মাতিয়া উঠিলেন। ইহার পর ভীম যখন যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন, তখন লোকের মুখে শুধুই ‘হায়’ ‘হয়’—‘হায়’ ‘হয়’ শব্দ । সাধারণ সৈন্যের ত কথাই নাই, ত্ৰিগৰ্ত্তরাজের বড় বড় সেনাপতিরাও ভয়ে ছুটাছুটি করিতে লাগিল ! স্বয়ং সুশৰ্ম্ম। পলাইবার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করিয়াও রক্ষা পাইল না । ভীম বিরাটরাজাকে মুক্তি দিয়া তাহার পরিবর্তে স্থশৰ্ম্মাকেই বাধিয়। লইয়া আসিলেন । আহা, কি কুক্ষণেই বেচার। যুদ্ধযাত্র। করিয়াছিল ! ভীমের লাথি চড়, আর ঘুসিতে সে প্রায় আধমরা হইয়া পড়িল সুশৰ্ম্মার দুর্দশ দেখিয়া যুধিষ্ঠির বলিলেন, “এই দুষ্টের উপযুক্ত শাস্তি হইয়াছে, এখন ইহাকে ছাড়িয়া দাও।” যুধিষ্ঠি:রর কৃপায় বন্ধনমুক্ত হইয়। স্থ শৰ্ম্ম। র্তাহাদিগকে নমস্কার করিয়া নত মস্তকে প্রস্থান করিল। তখন রাজা বিরাট কৃতজ্ঞস্থলয়ে পা গুবদিগকে বলিলেন, “আপনাদের দয়াতেই আমার রাজ্য-ধন মান সমস্ত রক্ষ হইল। এই উপকারের কি প্রতিদান দিব ? অামার সিংহাসন দিলেও, বোধ করি, যথেষ্ট হয় ন৷ ” যুধিষ্ঠির বলিলেন, “আপনার সামান্য উপকাব করতে পারিয়াছি, ইছাতেই অমর সুখী, পুরস্কারের কোনই প্রয়ে জন নাই ” এদিকে স্থশৰ্ম্মার সহিত যুদ্ধে যখন সকলেই ব্যস্ত, সেই সময় অসংখ্য সৈন্য লইয়া দুৰ্য্যোধন বিরাটের অপর প্রান্ত