লঙ্কাকাণ্ড এইবার যুদ্ধের পাল । রাম বলিলেন, “সুগ্ৰীব, হনুমান ত সীতাঁর সন্ধান আনিল, এখন তাহার উদ্ধারের উপায় কর ।” সুগ্ৰীব বলিলেন, “বন্ধু, দলে দলে বানর-সৈন্য লইয়া আমরা লঙ্কায় প্রবেশ করিতে পারিলে, সীতার উদ্ধারের ভাবনা কি ? চলুন, সমুদ্রের ধারে গিয়া পড়ি ।” তখন সুগ্ৰীবের আদেশে সেখানে যত বানর ছিল, সব আসিয়া জড় হইল এবং মহাশব্দে আকাশ পাতাল কাপাষ্টয়া সমুদ্রের দিকে চলিল। কত কোটি কোটি বানর যে সাজিয়ী আসিয়াছিল, কে তাহার সংখ্যা করে । সমুদ্রের তীরে রাশি রাশি বালুকার স্তপ ; সে বালুকার এক একটি কণা গণিয়া বরং শেষ করা যায়, কিন্তু বানরের সংখ্যা নির্ণয় করা: अनडद । v, এদিকে রাবণ হনুমানের কাণ্ড যাহা দেখিয়াছিল, তাহাতে তাহার নিশ্চিন্ত থাক সম্ভব নহে । তাই মন্ত্রীদিগকে ডাকি য়ু পরামর্শ করিতে বসিল । রাবণ বলিল, “রাম-লক্ষণের দোষের কথা তোমরা জান । তাহাদিগকে দণ্ড দিবার জন্ম ই রামের পত্নী সীতাকে আমি কাড়িয়া আনিয়াছি ! এখন রাম, লক্ষণ কিষ্কিন্ধ্যার রাজ হগ্রীবের সঙ্গে বন্ধুতা করিয়া তাহার বানর-সেনার সাহায্যে
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।