পাতা:ছোট্ট রামায়ণ - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

তারপরে ঘন বন, বড় অন্ধকার।
রামেরে বলেন মুনি, ‘হেথায়, রে ধন,
তাড়কা রাক্ষসী থাকে বিকট বদন।
রক্তখাকী হতভাগী ভারি বল ধরে,
লোকজন মেরে বন করেছে নগরে;
এই পথে যেই যায়, তারে খায় গিলে,
আপদে মারহ বাপ দুই ভাই মিলে।’

মরিবে রাক্ষসী বুড়ি, রক্ষা নাই তার,
তখনি দিলেন রাম ধনুকে টঙ্কার।
‘টং-টং’ রবে তার রুষি ভয়ঙ্কর,
দাঁত কড়মড়ি বুড়ি কাঁপে থর-থর।
‘হাঁই-মাঁই-কাঁই’ করি ধাঁই-ধাঁই ধায়,
হুড়মুড়ি ঝোপঝাড় চুরমারি পায়।
গরজি-গরজি বুড়ি ছোটে, যেন ঝড়,
শ্বাস বয় ঘোরতর ঘড়র-ঘড়র।
কান যেন কুলো তার, দাঁত যেন মূলো,
জ্বলজ্বল দুই চোখে জ্বলে যেন চুলো।
হাঁ করেছে দশ গজ, তাহে জিভ খান,
লকলকে চকচকে দেখে ওড়ে প্রাণ।
বিষম ধূলার ঘোরে দোহারে ঘেরিয়া,
পাথর চুড়িয়া বুড়ি মারে চেঁচাইয়া।
কোনো ডর নাহি পায় তাহে দুই ভাই,
ডাক শুনি লাখ বাণ মারে সাঁই-সাঁই।
দেখা দিল বুড়ি তাই ফাঁপর হইয়া,

১৫