পাতা:ছোট্ট রামায়ণ - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী.pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পাহাড় বেরুল যেন দাঁত খিঁচাইয়া।
হাত নাক কান কাটি, বুকে হানি বাণ,
দুজনে তখন তার বধিল পরান।
মুনির মুখেতে হাসি ধরে নাকো আর
‘বেঁচে থাক’ ‘বেঁচে থাক’ বলে বারবার।
মহা-মহা শেল শূল দেন কত রামে,
দেবতা অসুর কাঁদি ভাগে যার নামে।
যতনে তখন লয়ে ভাই দুইজনে,
ফিরিয়া গেলেন মুনি নিজ তপোবনে।
যজ্ঞ করে মুনিগণ বসিয়া সেথায়,
রাক্ষস আসিয়া দেয় রক্ত ঢালি তায়।
তারপর পাঁচদিন মিলি দুইজনে,
পাহারা দিলেন সেথা বড়ই যতনে।
যজ্ঞের আগুন যেই জ্বলিল তখন,
মেঘের উপরে হল ভীষণ গর্জন।
তাহা শুনি দুই ভাই দেখেন চাহিয়া,
রাক্ষস খিঁচায় দাঁত আকাশ ছাইয়া।
জালাপানা মুখ আর ঝাঁটপানা চুল,
কানে আঙ্গুটির গোছা, হাতে শেল শূল।
মেঘের আড়ালে থাকি মারে উঁকি-ঝুঁকি
পচা রক্ত ঢালি দেয় বারবার শুঁকি।
দুইটা পালের গোদা, বিষম বিকট,
মারীচ, সুবাহু নাম, অতি বড় শঠ।
মানব নামেতে বাণ জুড়িয়া ধনুকে,
ছুড়িয়া মারেন রাম মারীচের বুকে।

১৬