পাতা:ছোট্ট রামায়ণ - উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সুমন্ত্র সারথি আনে রথ সাজাইয়া,
কৈকেয়ী গাছের ছাল দিলেন আনিয়া।
তাহা পরি দুই ভাই করিলেন সাজ,
সীতারে পরাতে নাহি দেন মহারাজ।
বেলা হল, বয়ে যায় যাবার সময়,
প্রণাম করিয়া রাম দশরথে কয়,
‘বনে যাই, মহারাজ, দেহ পদধূলি,
দুখিনী মায়ের পানে চেয়ে মুখ তুলি।’
তার পরে তিনজনে চড়ে গিয়ে রথে,
পাগল হইয়া লোক ছুটে যায় পথে।
কাঁদিতে-কাঁদিতে রাজা নিজে যান ধেয়ে,
ব্রাহ্মণ সকলে যান, আর যত মেয়ে।
কাঁদিয়া কৌশল্যা যান; হায় রে দুখিনী—
আলুথালু হয়ে মাতা ধায় পাগলিনী।
কেমনে এ দুখ দেখি পরানেতে সয়?
‘চল, চল,’ বলি রাম সারথিরে কয়।
ছুটে যায় রথখানি তীরের মতন,
তার সাথে যেতে আর পারে কয়জন?
তবুও ছুটিয়া রাজা কতদূর যায়,
চলিতে না পারি আর বসিল ধূলায়
চাহিয়া রথের পানে কথা নাহি মুখে,
ঝরিয়া চোখের জল বয়ে যায় বুকে।
চলি গেল রথখান, দেখা নাহি যায়,
অমনি লুটায়ে রাজা পড়িল ধূলায়!
কৈকেয়ী তুলিতে তারে আইল ছুটিয়া,

৩৬