পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাইয়াছিল। মহেন্দ্ৰ বাবু সেই মাস হইতে “সাহিত্যের’ গ্ৰাহক হইয়াছেন ; আর সেই সংখ্যার কাগজখানি কিমিয়া বন্ধুগণের মধ্যে বিতরণ করিয়াছেন ; পাছে কেহ ‘অভিমান’ শীর্ষক ‘শ্ৰীমহেন্দ্ৰনাথ । তরফদার” স্বাক্ষরিত কবিতাটি দেখিতে না পায়, তাহার জন্য সেই কবিতাটীতে লাল পেন্সিলের দাগ দিয়া দিয়াছেন। একে মা. মনসা, তায় ধূনার গন্ধ ! জালাতন গো, জ্বালাতন ! কিন্তু তাও বলি, আমার ন্যায় নির্বাক, সুতরাং সমজদার শ্রোতা তাহার কবিজীবনে তিনি পান নাই ;-আমি তাহার কবিজীবনের সমস্ত অত্যাচার অমানবদনে সহা করিতাম । কবি মহেন্দ্ৰনাথের “এত প্ৰেম আশা, প্ৰাণের তিয়াস” যে মেসের বি, বামুন এবং আমার ন্যায় রূপ-রস-গন্ধ-শব্দহীন শ্রোতার কৰ্ণে ঢালিয়া পরিতৃপ্ত হইবে, এ আশা করাই অন্যায়! আমিও মনে মনে ভাবিতাম, কবি মহেন্দ্ৰনাথের প্ৰেম-প্রবাহিনীতে শীঘ্রই একটা ঘোর বান ডাকিবে, এবং সেই বানের খরপ্রবাহে রিপন কলেজের দ্বিতীয় বার্ষিক শ্রেণী, বেচুচাটুৰ্যোর ষ্ট্রীটের দ্বিতল গৃহ, জীবন ভাণ্ডারীর খাতায়-খরচলেখা বংশধর, সব কোথায় ভাসিয়া যাইবে । আমার কথাই ফলিল। একদিন অপরাৱে কলেজ হইতে আসিয়া দেখি, মহেন্দ্ৰ বাবু জিনিসপত্র সমস্ত বঁাধিতেছেন। আমাকে দেখিয়া বলিলেন, “নলিন, আমার পশ্চিমে চাকুরী হইয়াছে ; আর পরীক্ষা দিব না । আজ রাত্রের মেলেই রওয়ানা হইতে হইবে। আমার জিনিসপত্র যাহা কিছু দরকার, লইয়া