পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কমলা পরদিন সকালে উঠিয়া বালিশের নীচে পত্ৰ পাইলেন, “কমল, চির বিদায়।” দুই দিন পরে সংবাদ পাওয়া গেল, তাহার স্বামী পদ্মার ডুবিয়া মরিয়াছেন। সে আজ পাঁচ বৎসরের কথা।” কমলা তাহার পর হইতেই পাঁচ বৎসরের মেয়েটিকে লইয়া মামার কাছে কলিকাতায় আসিয়া পড়িয়াছেন। কমলাকে তিনি নিজের মেয়ের মত দেখেন । তিনি কমলার মেয়ে যোগমায়াকে একটি বালিকা-বিদ্যালয়ে ভৰ্ত্তি করিয়া দিয়াছেন। সত্যচরণ বাবু প্ৰাচীন হইলেও কিঞ্চিৎ আধুনিক-তন্ত্রের লোক । 2 সত্যচরণ ক্ষীণস্বরে বলিলেন, “মা কমল, গলাটা বড় শুকিয়ে গেছে ; একটু লেমনেড দিবি ?” সে কক্ষে লেমনেড ছিল না ! চাকরেরা পাশের একটা কুঠুরীতে ঘুমাইতেছিল। কমলা তাহাদের আর বিরক্ত করিলেন না ; সবেমাত্র তাহারা খাটিয়া-খুটিয়া ঘুমাইয়াছে। নিজে তিনি যাহা পারেন, তাহা কেন অপরকে দিয়া করাইবেন, সকলেরই ত রক্তমাংসের শরীর। কমলা ধীরে ধীরে সত্যচরণের পাঠ-কক্ষে প্ৰবেশ করিলেন ; তিনি জানিতেন, সেই ঘরের আলমারির দেরাজের মধ্যে কতকগুলা সোডা লেমনেড আছে । গৃহে প্ৰবেশ করিতেই কমলার বোধ হইল, দেওয়ালের গা বহিয়া একটা মানুষের ছায়া হঠাৎ একদিকে ছুটিয়া গেল। দ্বারের নিকট স্তম্ভিতভাবে দাড়াইয়া কমলা ঘরের দিকে চাহিলেন। У о о