পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাম না। এ কয় বৎসর দেশেদেশে কেবল আমোদে কাটাইয়াছি। আজি হঠাৎ পূৰ্ব্বস্মৃতি জাগিয়া উঠিয়াছে! তোমার জীবন আর বিড়ম্বিত করিব না ; আমার জীবন-ভার আজ একাদণ্ডের মধ্যে অসহ্য হইয়া উঠিল। ধৰ্ম্ম, দেবতা, পৃথিবী, সকল ভুলিয়াছিলাম ; তোমার মুখ আবার সে সকল কথা জাগাইয়া দিল। এখন একবার . যোগমায়াকে দেখিতে ইচ্ছা হয়, তাহার সঙ্গে দুটি কথা বলিতে চাই । তার পর। প্ৰায়শ্চিত্ত ।” কমলার বুকের মধ্যে সমুদ্রের তরঙ্গ উথলিতেছিল। তিনি প্ৰাণপণশক্তিতে মুখ তুলিয়া বলিলেন, “তুমি দাসু্যর মত এ বাড়ীতে প্ৰবেশ করিয়াছে। দস্তুর সহিত আমার মেয়ের পরিচয় করাইতে পারি না।-আমি দাসু্যপত্নী, এ স্মৃতি নিৰ্বাণ হইয়া যাক! তুমি তোমার অঙ্গুরী ফিরাইয়া লও।”-কমলা অঙ্গুরী খুলিয়া চোরের পদতলে ফেলিয়া দিলেন । চোর ধীরে ধীরে অঙ্গুরী তুলিয়া লইল এবং তাহা বুকের পকেটে রাখিয়া বলিল, “কমল, বিদায় হইলাম ; তোমার অযোগ্য স্বামীকে ক্ষমা করিও । আর যদি কখন শুনিতে পাও, তারা প্ৰসন্ন মরিয়াছে, তবে নূতন করিয়া চোখের জল ফেলিও। আমি এতদিন বঁাচিয়া তোমার কাছে মরিয়াছিলাম ; এতদিনে যেন মরিয়া दैन्ड् िश्रांत्रिं ॥° চোর বাতাসূনপথে অন্তহিত হইল ; ইতিমধ্যে অদূরে কাহার পদশব্দ শুনিতে পাওয়া গেল। লীলাবতী সেই কক্ষে প্ৰবেশ করিয়া বলিলেন, “কি লো দিদি, তোর যে আঠারো মাসে বছর। লেমনেড So 8