পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কত কষ্ট করে পড়াশুনা করেছিলেন, তাই তিনি বিদ্যাসাগর হয়েছিলেন। তুমিও কষ্ট কোরছে, তুমিও বিদ্যাসাগর হবে। আজ আমি বাবুকে বলে তোমার সকালে ভাতের বন্দোবস্ত কোরে দেবো ।” সেইদিন রাত্রে কৃষ্ণদয়াল যখন কাজকৰ্ম্ম সারিয়া বাড়ীর ভিতর যাইবার জন্য উঠিলেন, সেই সময়ে হরেকৃষ্ণ অমরের দেরিতে স্কুলে যাওয়ার কথা বলিল ; গিল্পী কি বলিয়াছেন, সে কথা। আর दक्लिक नां । কৃষ্ণদয়াল বাবু শয়নগৃহে গিয়া মনোরমাকে বলিলেন, “দেখ, ঠাকুরকে বলে দিও-কা’ল থেকে যেন একটু সকাল-সকাল রান্না করে। অমরের স্কুলে যেতে দেরী হয়,-সেই জন্য তাকে নাকি শাস্তি পেতে হয় ।” মনোরমা এই কথা শুনিয়া একেবারে ফুলিয়া উঠিলেন ; অতি । কর্কশাস্বরে বলিলেন, “তা তোমার চাকর-বামুন, হুকুম করলেই । পার। আমি কোথাকার কে যে, তোমার চাকরের উপর হুকুম চালাতে যাবো ? আমার এক পেট, খেতে দিতে যদি কষ্ট হয়বললেই পারি, আমি বাপের বাড়ী চলে যাই। তারা আর আমাকে । ফেলতে পারবে না। এত অপমান কেন ? এখন ভাইপো আপন হোলো ; আর আমার বাবা যে এতগুলি টাকা গণে দিয়েছিলেন, তা” এখন মনে হবে কেন ?” কৃষ্ণদয়াল একেবারে নিরুত্তর ; কোন কথা না বলিয়াই তিনি ধীরে ধীরে বাহিরে চলিয়া আসিলেন ; সে দিন আর আহার 4