পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষে ছাত্ৰবৃত্তির তিন ক্লাশ নীচে হইতে পড়াশুনায় ইস্তফা দেওয়াতে শ্ৰীমান শ্যামসুন্দরের জীবন বেশ নিষ্কণ্টক হইয়া * উঠিল। মায়ের অনেকগুলি ছেলের অকাল-মৃত্যু হওয়ায় তিনি সকালে-সিকালে একটি নোলকপরা বধু আনিয়া সংসারসুখটা যোেল১ আনা রকমে ভোগ করিবেন, এমন আশা করিলেন ; কিন্তু মানুষের সকল আশা পূর্ণ হয় না । পুত্রের বিবাহ দিবার পূর্বেই অপূর্ণ আশা লইয়া তাহাকে ইহলোক পরিত্যাগ করিতে হইল । পুরুষের অন্নবস্ত্র এবং রূপগুণের যতই অভাব হোক, দুৰ্ভাগ্য বঙ্গদেশের প্রতি বৃদ্ধ প্ৰজাপতির এতই অনুগ্রহ যে, তাহার বিবাহের জন্য কখন কন্যার অভাব হয় না । বিশেষতঃ আজকাল পল্লীসমাজে ছেলে অপেক্ষা ছেলের বােপকে দেখিয়াই কন্যাগ্ৰস্ত ব্যক্তিগণ স্ব স্ব অপরিণীত কন্যার বিবাহ-সম্বন্ধ পাকাইয়া তুলেন। সুতরাং গদীয়ান চক্রধরের পুত্রের বিবাহে কিছুমাত্ৰ গোলযোগ হইল না । রামনগরের ত্ৰিলোচন সরকারের কন্যার সহিত শ্যামসুন্দরের বিবাহ স্থিরীকৃত হইল। কন্যার বর্ণ মসীকৃষ্ণ হইলেও তাহার সুবৰ্ণলতা নাম রাখিতে পিতামাতার আপত্তি দেখা যায় না । সেই নজীর, অনুসারে কন্যার বিদুল্লতা নাম রাখা হইয়াছিল। ত্ৰিলোচন কিছু সম্পত্তি রাখিয়া পরলোকগমন করিয়াছিল; তাই লোভান্ধ চক্ৰধর বিদ্যুল্লতার রূপের পরিচয় পাইয়াও এ বিবাহে আপত্তি করেন নাই। বিবাহের পূর্বে একদিন তিনি বৃদ্ধ কুলপুরোহিতকে এ সম্বন্ধে মতামত জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন ; কিন্তু পুরোহিত ঠাকুরও কিছু আশা রাখিতেন; তাই তিনি শ্লোক [ o or