পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিঃশেষ হইয়া গেল ; শেষবিচারে খুড়শ্বশুরেরই সুবিধা হইল। মোকদ্দমারূপ সুবৃহৎ বহ্নিচক্র হইতে যে কিছু স্থাবর সম্পত্তি রক্ষা পাই আছিল, তাহা সুলভ মূল্যে বিক্রয় করিয়া, নগদ টাকা, তৈজসপত্র, স্থবিরা শাশুড়ী এবং যুবতী স্ত্রী লইয়া পঞ্চবিংশতি বৎসর বয়সে শুষ্ঠামসুন্দর পিতৃগৃহে ফিরিয়া আসিল । এখন শু্যামসুন্দরই বাড়ীর কর্তা । বৃদ্ধ চক্ৰধর অক্ষমতাবশতঃ কাজে ইস্তফা দিয়া চলিয়া আসিয়াছেন ; এখন তিনি শুধু হরিনাম করেন ও দুবেলা দুটি খান । বৃদ্ধ বয়সে আহারের প্রতি সকলেরই একটু লোভ হইয়া থাকে, বোধ হয় ইহা বাৰ্দ্ধক্যের স্বাভাবিক দুর্বলতা ; কিন্তু এই আহারলিপ্তসাটা শ্যামসুন্দরের শাশুড়ী ও স্ত্রীর চক্ষে অতি কদৰ্য্য যথেচ্ছাচার বলিয়া প্ৰতীয়মান হইত। শুষ্ঠামসুন্দরের স্ত্রী যখন-তখন প্ৰবল বাত্যা তুলিয়া বলিত,-“আমরা যে প্ৰতিদিন গহনা বন্ধক দিয়ে টাকা আনচি, এ কি শুধু ঐ বুড়টার জন্যে মাছের ঝোল, আর ঘি-দুধ যোগাতে !” সঙ্গে সঙ্গে শাশুড়ী কন্যার মতের পোষকতা করিয়া শু্যামসুন্দরকে বলিত, “আমার যে দুতোলা আছে, তাতো তোমারই। ও বুড়োটার খোরাকেই যদি সব খরচ হয়, তা হোলে কি করে চলে ?” পিতার এই অবিবেচনার বিরুদ্ধে শু্যামসুন্দর প্রথম-প্ৰথম কিছু বলিতে সাহস করিত না ; কিন্তু অবশেষে তাহার স্ত্রী যখন পঞ্চম ছাড়িয়া সুর সপ্তমে তুলিয়া স্বামীকে লক্ষ্য করিয়া বলিল, “অপদাৰ্থ ৰিঘিরে মিনসে, তুমি বসে থাকবে, আর তোমাদের বাপবেটাকে আমার বাপের টাকা তেঙ্গে পুষিবো ?”-তখন শুঠামসুন্দরের চৈতন্যোদয় SS