পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“বেয়ান, রান্না হ’লো কি ?” বেয়ান মুখখানি হাঁড়ির মত করিয়া উত্তর দিল, “দুবেলা চাল সিদ্ধ করবার জন্যে ত আর কেহ দাসী * বঁাদি নেই। একটা পয়সা রোজগারের ক্ষমতা নেই, ভাতের খোজ করা ত আছে, ভাত আসে কোথা হতে ?” বৃদ্ধ আর দ্বিরুক্তি না করিয়া বাহিরের ঘরে আসিয়া বসিলেন ; অবনতমস্তকে নিজের অবস্থার কথা চিন্তা করিতে লাগিলেন । হায় বাৰ্দ্ধক্য ! আজি তাহার সংসার অরণ্য, জীবন অন্ধকারপুর্ণ, নিজ গৃহেও তাহার স্বাধীনতা নাই। সে দিন আর তাহার কিছুই আহার হইল না। তাহার হাতে দুই একটি টাকা ছিল, তাহাই ভাঙ্গাইয়া কোন কোন দিন দু’পয়সার চিড়া কিনিয়া তদ্বারা ক্ষুধার নিবৃত্তি করিতেন, কোন দিন মুড়ী খাইয়া কাটাইতেন। বেয়ান শুনাইয়া-শুনাইয়া বলিত, “হাতে টাকার পুটলি আছে, লুকিয়ে লুকিয়ে ভালমন্দ খাওয়া হয়, এত বড় গোরস্থালিটা কি রকম ক’রে চলে, সেদিকে ভ্ৰক্ষেপ নাই।” বৃদ্ধ দুঃখে অভিমানে পুত্রকে কোন কথা বলিত না । পিতার এই প্ৰকার দুরবস্থার কথা শুনিয়া কন্যা রাজমোহিনী নৌকা করিয়া তাহাকে স্বামীর কৰ্ম্মস্থান রতনপুরে লইয়া গেল । রাজমোহিনীর স্বামী ইন্দু বাবু রতনপুরের জমীদারের দেওয়ান। ইন্দু বাবুর আশ্রয়ে আসিয়া বৃদ্ধ কথঞ্চিৎ শান্তিলাভ করিলেন ; কন্যার যত্ন ও পরিচর্য্যায় তাহার হৃদয়ের ক্ষত অনেক পরিমাণে বিদূরিত হইল ; কিন্তু তাঁহার তিন বৎসরের সেই ক্ষুদ্র নাতিটির MsLDLDDD BBD DDBD sBBB BDDDS SDBDB DBDBSDBBDB sD সান্দর-সম্ভাষণের মধুর স্মৃতি এই বিরহ বিষাদক্লিষ্ট জীর্ণ প্ৰ’ৰাসী ኪፖ [ »७