পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৃদ্ধের হৃদয় পীড়িত করিতে লাগিল ; তাহার কন্যার পুলকন্যাগণ তাহার হৃদয়ের সে অভাব পুর্ণ করিতে পারিল না। এদিকে শু্যামসুন্দর দেখিলেন আর তা বসিয়া থাকা চলেন না, * শ্বশুরবাড়ীর গহনাগুলি ক্ৰমে নিঃশেষিত হইয়া আসিল ; পত্নীর অসংযত রসনার উগ্ৰতাও অধিকতর অসহনীয় ; সুতরাং বাধ্য হইয়া । শু্যামসুন্দরকে অর্থে পার্জনে মনোনিবেশ করিতে হইল। কিন্তু বড়লোকের মোসাহেবী ভিন্ন অন্য কোন কাৰ্য্যে তাহার পারদর্শিতা না থাকায় অগত্যা সে চাকরী-লাভের দুরাশা পরিত্যাগ করিল। কিছু কিছু করিয়া টাকা কার্জ লইয়া অবশেষে সে এক মুদিখানার দোকান খুলিয়া বসিল। চাউল, ডাইল হইতে হাড়ি, কাঠসকল জিনিসই দোকানে সঞ্চিত হইল । কিন্তু দোকানের আয় অপেক্ষা সংসারের ব্যয় অনেক বেশী ; কাজেই দোকানের মূলধন ক্ৰমেই সংকীর্ণ হইয়া আসিতে লাগিল ; শেষে দোকানের ঝাপ চিরস্থায়ী রকমে বন্ধ হইয়া গেল । মহাজনেরা টাকার তাগাদ করিতে আসিলে শুষ্ঠামসুন্দর অতি গম্ভীর বিষয়ীলোকের মত উত্তর করিতে লাগিল, “রয়ে ব’সে নেও ভাই ! তিন হাজার টাকা বিলেত বাকি, আদায়পত্র না হলে কি ক’রে দেন শোধ করি ?” -কলিকাতার মহাজন সুপারী, মসলা, এবং কেরোসিন তেলের জন্য অনেক টাকা পাইবে । পুনঃ পুনঃ তাগাদা দ্বারাও যখন তাহারা কপর্দকমাত্ৰ আদায় করিতে পারিল না, তখন তাহারা নালিশ করিবার ভয় দেখাইল । কলিকাতার মহাজন নালিশ করিতে চাহিয়াছে, কথাটা গ্রামে SY 8