রাষ্ট্র হইবামাত্র শ্যামসুন্দরের গ্রামের মহাজনেরা তাহাকে আরও ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল। চাটুৰ্য্যেদের মেজবাবুর সঙ্গেই তাহার প্ৰণয় কিছু বেশী। তিনি মধ্যে তাহাকে দুই শত টাকা কার্জ দিয়াছিলেন । সহসা একদিন তিনি শু্যামসুন্দরকে ডাকাইয়া বলিলেন, “টাকাটা আমার স্ত্রীর ; বড় জেদ আরম্ভ করিয়াছে, কোন রকমে। ওটা শোধ করে ফেল, ভাই !”-ছোট বড় সমস্ত দেন উদ্যতফণা সৰ্পের ন্যায় তাহাকে দংশন করিতে প্ৰস্তুত হইল । তখন শু্যামসুন্দর নিরুপায় হইয়া হাজার টাকায় ভদ্রাসন বাড়ীখানি হরিপুরের বিশ্বাসদের কাছে বন্ধক রাখিয়া কতক কতক দেনাশোধ করিল। রেহেণী-তমঃসুকে তাহার পিতাকে ও যথারীতি নাম স্বাক্ষর করিতে হইল। আমরা লোকমুখে শুনিয়াছি, বৃদ্ধ তাহার অস্তিমের সম্বল এই পৈত্রিক অট্টালিকাটুকু উত্তনর্ণের গ্রাসে নিক্ষেপ না করিবার জন্য যথাবিহিত চেষ্টা করিয়াছিল ; কিন্তু বেয়ানের প্ৰবল ঝঙ্কারে সেই ক্ষীণপ্ৰাণ জীৰ্ণ বৃদ্ধের ক্ষুদ্র প্রতিবাদ আবৰ্ত্তময়ী ঝটিকার মুখে শুষ্কপত্রের ন্যায় উড়িয়া গেল । বাড়ী বাধা দিয়া ঋণশোধ চলিতে পারে, কিন্তু সে টাকায় সপরিবারে দীর্ঘকাল ধরিয়া উদরান্নের সংস্থান হয় না ; কাজেই উপায়ান্তর না দেখিয়া শু্যামসুন্দর তাহার ভগিনী রাজমোহিনীর শরণাপন্ন হইল। আর কিছু না হউক, তাহার ভরসা হইল, কিছুদিন সে পাওনাদারগুলার তাগাদ হইতে বাক্ষা পাইবে । ) N একটা ক্যামবিসের ছোট ব্যাগ, ছোট একটি কলিহুকা, তার SSC
পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১১৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।