পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্রট হইল না। ইন্দুকান্ত ও কমলাকান্ত কাছারী চলিয়া গেলে সেই দিন হইতে উপরের ঘরে ভ্ৰাতা ভগিনীতে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলিত ; কি কথা হইত, কেহ বলিতে পারে না, কিন্তু সমস্ত বেলার মধ্যে তাহদের কথার আর শেষ হইত না ; দাসীগণের মধ্যে কেহ কেহ দৈবাৎ সেখানে উপস্থিত হইলে সহসা তাহাদের সমস্ত গোপনীয় পরামর্শ বন্ধ হইয়া, ‘আজ বড় গরম,’ ‘হাটে মাছের আমদানী একেবারে বন্ধ,” “গরুর দুধ বড় কমে গেছে’- এই রকমের সংক্ষিপ্ত প্ৰকাশ্য সমালোচনা শ্ৰোত তাহদের মুখ-বিবর হইতে নিঃসারিত হইত। রতনপুরের কাছারীর সন্নিকটে একটা পুকুর ছিল, পুকুরটাতে প্রচুর মাছ। বঙ্কিম বাবু বলিয়া গিয়াছেন, নিষ্কৰ্ম্ম অবতারের বধ্য পুষ্করিণীর মাছ। এই মহাজনোক্ত প্ৰবচন অনুসারে শু্যামসুন্দরের চঞ্চল, লুব্ধদৃষ্টি অবিলম্বে এই পুষ্করিণীর মাছের উপর পতিত হইল। সুতরাং হুইল সুতা বড়সী সমস্ত আয়োজন করিয়া শু্যামসুন্দর পুকুরে রীতিমত চার করিয়া মাছ ধরিতে বসিল ; ছোট বড় রুই মৃগেল প্ৰভৃতি মৎস্যবংশের প্রতিদিন ধ্বংস হইতে লাগিল । মহকুমা হইতে হাকিমের “সরকোটে’ বাহির হইয়া অনেক সময়ই রতনপুরে আসিয়া তাবু গাড়িতেন, সুতরাং উকীল মোক্তার অনেককেও এখানে আসিতে হইত ; সে কয়দিনের জন্য র্তাহারা দেওয়ানজীর স্কন্ধেই ভর করিতেন । সেই সময়ে এবং অন্য আবখ্যককালে হাটে মৎস্তের অভাব হইলে ইন্দু বাবু পুষ্করিণী হইতে মাছ ধরাইয়া অতিথি-সৎকার করিতেন ; কিন্তু প্ৰতিদিন > R o ]