পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়ম বাধিয়া সখের খাতিরে এমন ভাবে, মাছধরা নিম্প্রয়োজন দেখিয়া একদিন সকালে কমলাকান্ত চাকরীদের ডাকিয়া বলিয়া দিলেন, “মামাবাবুকে বলিয়া দিস, প্ৰত্যহ এ রকম করিয়া মাছ ধরিবার দরকার নাই ।” সন্ধ্যার পূর্বাহুে কমলাকান্ত কাছারী হইতে ফিরিবার সময় দেখিতে পাইলেন, শু্যামসুন্দর তখনও হুইল ফেলিয়া হুক হাতে পুকুরের ধারে বসিয়া রহিয়াছে; একটা প্ৰকাণ্ড রুইমাছ ধরা হইয়াছে, তথাপি আশা মিটে নাই ; আরো একটা ধরিতে পারিলে মনের ক্ষোভ মেটে । সমস্ত দিন কতকগুলো চাষার সঙ্গে বকা বকি করিয়া কমলাকান্তের মেজাজটা বড় ভাল ছিল না ; শু্যামসুন্দর আজও মাছ ধরিতেছে দেখিয়া তিনি অধিকতর বিরক্ত হইয়া উঠিলেন ; উচ্ছসিত ক্ৰোধ দমন করিয়া কিঞ্চিৎ শ্লেষের সহিত বলিলেন, “কিহে, হাতে কাজকৰ্ম্ম না থাকলে পুকুরের মাছগুলো কি এমনি ভাবে নিকেশ কৰ্ত্তে হয় ? কুটুমবাড়ী এসেছি, খাও দাও থাকো ; যাতে গৃহস্থের ক্ষতি হয়, এমন কাজে হাত দিবার দরকার কি ?” শ্যামসুন্দরের ধৈৰ্য্যচ্যুতি ঘটিল। সে বলিল, “তুমি আমাকে বলবার কে হে? আমি তোমার খাই, না পরি ? আমার ভগিনীর অন্নে মানুষ হ’য়ে তুমি আমাকে এত অপমানের কথা বল ? আমি তোমার কি তোয়াক্কা রাখি ?” কমলাকান্ত বলিলেন, “তুমি অতি নিৰ্বোধ, তাই আমার কথায় অপমান বোধ করিতেছ। তুমি কি জান না, নিজের মান নিজের কাছে ?” [ • २२