পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নয়। বৎসরের ছেলে অমরনাথ ভয়ে একবারে এতটুকু হইয়া গিয়াছিল। কি করে ? সেই শীতের দিনে, সেই বৃষ্টির মধ্যে, কেঁচার কাপড় গায়ে দিয়া অমরনাথ প্ৰথমে লেপটি লইয়া ভিজিতে ভিজিতে পুষ্করিণীতে গিয়া তাহা কাচিয়া আনিল, তাহার পর সেই ছেড়া মাদুরটি লইয়া আবার ঘাটে গেল। শানবাধা ঘাট, বৃষ্টি পড়িয়া পিচ্ছিল হইয়াছিল ; অমর পা-হড়কাইয়া সেই ঘাটে পড়িয়া গেল। তাহার বুক ফাটিয়া কান্না আসিতেছিল। ঘাটে পড়িয়া গিয়া একবার শুধু সে বলিল, “বাবা গো ।” তাহার পর কিছুক্ষণ নীরবে বসিয়া রহিল ; কিন্তু বসিয়া থাকিয়া কি হইবে ! কাকীমা। যে বকিবেন। পায়ে ও মাথায় বড়ই লাগিয়াছিল ; আমার অতি কষ্টে’ উঠিল! মাদুরটা জলে ডুবাইয়া দুই হাতে ধরিয়া লইয়া আসিল ; মাদুরের জলে তাহার কাপড়খানি একেবারে ভিজিয়া গেল, বৃষ্টিতেই পূৰ্ব্বে অনেকটা ভিজিয়াছিল। সে দিন রবিবার ; আমরের স্কুল বন্ধ। সমস্ত দিন চলিয়া গেল । সন্ধার সময় অমরের কেমন অসুখ করিতে লাগিল। সে কিছুই আহার করিল না ; রাত্রে ভয়ানক জার। প্ৰাতঃকালে কৃষ্ণদয়াল বাবু শুনিলেন, "আমরের জর হইয়ছে । “সামান্য জ্বর, সারিয়া যাইবে । আজ কিছু খেতে দি ও না !” ভ্রাতুষ্পপুলকে না দেখিয়াই এই আদেশ প্রচার করিয়া কৃষ্ণদয়াল বাবু স্বকাৰ্য্যে মনোনিবেশ করিলেন ; এবং দ্বিপ্রহরে আহারাদি করিয়া কাছারীতে গেলেন । অপরাহে কাছারী হইতে আসিয়া হরেকৃষ্ণ দেখিল, অমর