পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুবাবু কঠিন রোগে আক্রান্ত হইয়া ইহলোক পরিত্যাগ করিয়াছিলেন । শুঙ্গামসুন্দর দেখিল, কমলাকান্ত ভ্ৰাতৃশোকে অৰ্দ্ধমৃত অবস্থায় পড়িয়া রহিয়াছেন। তঁহার জ্ঞান লুপ্তপ্ৰায় ; বর্ষার দুৰ্দমনীয় জলপ্রবাহে জীৰ্ণ বাধের মত র্তাহার স্বাভাবিক ধৈৰ্য্যবন্ধন শতধা বিদীর্ণ হইয়া গিয়াছে। দেখিয়া শ্যামসুন্দরের চক্ষে পৈশাচিক আনন্দ ফুটিয়া উঠিল। অনন্তর শোকবিদগ্ধা ভগিনীর নিকট উপস্থিত হইয়া আয়াস-বিগলিত অশ্রুর সহিত কিঞ্চিৎ কপট সহানুভূতি প্ৰকাশপুৰ্ব্বক বলিল, “যাহা অদৃষ্টে ছিল, তাহা ত হইয়া গিয়াছে, সে জন্য আর শোক করিয়া কি হইবে ? এখন লোকনের কাছে যে কিছু পাওনা আছে, সময় থাকতে তা আদায় করবার চেষ্টা দেখ। কমলাকান্ত যদি টাকাটা কোন কৌশলে আদায় ক’রে লয়, তা হ’লে তোমার হাতে ঘটি পড়িবে।” উদ্বেলিত শোকাবেগ দমন করিয়া রাজমোহিনী বাস্পারুন্ধকণ্ঠে উত্তর দিল, “আমাকে একেবারে পথে বসিয়ে রেখে গেল গো, ছেলেপিলের জন্যে একটা পয়সা সম্বল রেখে যায়নি, সৰ্ব্বস্ব ঘুচিয়ে কেবল সকল গুষ্ঠির পেট ভরিয়েছে। আমার যে দশ টাকা পাওনা আছে, দাদা, তুমিই আদায়পত্র কর । আর আমার কে আছে, কাকে বিশ্বাস করবো ? সুসময়ে সকলেই আপনার হয়, অসময়ে কেউ ফিরেও তাকায় না। তুমি মায়ের পেটের ভাই ছিলে, তাই আমার এ বিপদের কথা শুনে দৌড়ে এসে মাথা দিয়ে পড়েছি।” ইত্যাদি। ইন্দু বাবু পাকা লোক ছিলেন, তিনি বিনা লেখাপড়ায় কাহাকে ও এক পয়সা কি দুৰ্জ দেন নাই। হাতচিঠি, হাণ্ডনেট, R9)