পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অসময় আছে। টাকা না থাকে। কার ? আমার ত এককালে কত টাকা ছিল। টাকা থাকলেই কি এমন করে চক্ষুলজ্জা ঘুচোয় ? আপন ভাই আহার-নিদ্রা ছেড়ে ছ’টা মাস হায়রাণ,হয়ে তোমার টাকা আদায় করে দিল, আর তুমি কি না তার সব হিসাব কড়ায়গণ্ডায় বুঝে নিতে এসেছি। খুব মেয়ে তা তুমি । বাছা ?” রাজমোহিনী আর কোন কথা বলিতে পারিলেন না, বহিদ্বারের কপাট দুই হস্তে চাপিয়া ধরিয়া দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া সকাতরে বলিলেন, “ভগবান, সর্বস্ব গেল, আমি দাড়াব কোথা ?” র্তাহার অশ্রুপূর্ণ নতদৃষ্টিতে বোধ হইতেছিল যেন তিনি অবমানিত অভিমানিনী জানকীর ন্যায় জননী বসুমতীর নিকট নীরবে প্রার্থনা ? করিতেছিলেন, “মা তুমি দ্বিধা বিভক্ত হইয়া তোমার কোলে আমাকে স্থান দাও।” সেদিন শরৎকালের জোৎস্নাবিধৌত মধুর রাত্রি। পূৰ্ব্বকাশে উজ্জল চন্দ্ৰ হাসিতেছিল ; চারিদিক নিস্তান্ধ, গ্ৰাম্য-কোলাহল নৈশপ্রশান্তির মধ্যে বিলুপ্ত হইয়া গিয়াছিল ; কেবল মানবের সুখদুঃখে৷ একান্ত উদাসীন একটা বিরহী পাখী আব্দুরবস্ত্রী তরুপল্লবের অন্তরাল হইতে এই জ্যোৎস্নাবিহবলা নিশীথিনীর মধ্যে দীর্ঘস্বরে আপনার একক জীবনের অন্তব্যথা চরাচরে ব্যক্তি করিতেছিল। এমন সময় পঞ্চত্রিংশতিবর্ষ বয়স্ক একটি গৃহস্থ রমণী ধীরপদবিক্ষেপে শু্যামসুন্দরের অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । অশ্রাভারাক্রান্ত চক্ষে রাজমোহিনী প্ৰথমে তাহাকে দেখিতে পান নাই। রমণী ধীরে ধীরে রাজমোহিনীর নিকট আসিয়া বিশীর্ণ ১৩২ ]