পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বয়স যখন পনর বৎসর, তখনও আমি বালিকার ন্যায় সরল ছিলাম ; আমার মনে কোনই অভাব ছিল না । দিনরাত্রি আমোদ- আনন্দ ও পড়াশুনা করিয়াই কাটাইতাম। পড়াতেই আমার সুখ । আমি সংস্কৃত-মহাকাবো বিভোর থাকিতাম ; দাদার কৃপায় ভাল। ইংরাজী পুস্তকও অনেক পড়িতে পাইতাম । আমার মনে হইত, পৃথিবীতে জ্ঞানানুশীলনই সুখের চরম উৎস ; আমি দেশ-বিদেশের মনীষিগণের অতুল জ্ঞানসাগরে নিমগ্ন থাকিয়া ংসারের শোকতাপ কিছুই অনুভব করিতে পারিতাম না। তবে একটা অশান্তি মধ্যে মধ্যে আমাকে বড়ই কাতর করিত;- সে দাদার বিবাহে অনিচ্ছা । দাদা এম, এ, পাশ করিলেন ; দাদা ওকালতী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলেন ; ছোট আদালতে বাহির হইলেন । তখন দাদার বয়স ২৭ বৎসর । কিন্তু দাদাকে কেহ বিবাহে সন্মত করিতে পারিল না ; কেহ বিবাহের প্রস্তাব করিলেই দাদা বলিতেন, “এতদিন ত বাপের পয়াসাই ব্যয় করিতেছি ; নিজে দশটাকা আনিতে শিখি, তখন বিবাহ করিবার কথা ভাবিয়া দেখা যাইবে।” আমাদের অবস্থা এমন নয় যে, দাদা দশটাকা না আনিতে পারিলে সংসার অচল হয়। বাবা স্মিথ কোম্পানীর হেড কেশীয়ার ; তিনি যাহা উপাৰ্জন করেন, তাহাতে আমাদের সংসার চলিয়া যায়, বরং কিছু কিছু সঞ্চিত হয়। তাহা ছাড়া পিতামহের আমলের কিছু কোম্পানীর-কাগজ আছে; বাড়ীখানি আমাদের নিজের। চোরবাগানে আরও একখানি বাড়ী আছে ; তাহার ভাড়াও নিতান্ত কম নহে। সুতরাং সাংসারিক অস্বচ্ছলতা আমাদের মোটেই ছিল ১৪ ]