পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একদিন সন্ধ্যার পরে ছাদ হইতে নামিয়া আসিতেছি, এমন সময়ে বাবার ঘরে কথাবাৰ্ত্তা শুনিতে পাইলাম ; অনেকক্ষণ সন্ধ্যা হইয়া গিয়াছে, তবুও বাবার ঘরে আলো দেয় নাই,-অন্ধকারেই কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে। স্বরে বুঝিলাম, ঘরের মধ্যে মা, বাবা, দাদা, তিনজনেই আছেন। অন্ধকারের মধ্যে তিনজনে এমন কি গুরুতর বিষয়ে পরামর্শ করিতেছেন, জানিবার জন্য আমার বড়ই ইচ্ছা! হইল। আমি দ্বারের পার্শ্বে চুপ করিয়া দাড়াইলাম। দাদা বলিতেছেন, “আমি বিবাহ করিতে পারিব না । এ বাড়ীতে আবার বিবাহের আমোদ ! কমল চিরজীবন বৈধব্যযন্ত্রণা ভোগ করিবে, আর আমি বিবাহ করিয়া সুখে ঘর করিব, তাহা হইতেই পারে না । কমলের জীবন যে ভাবে যাইবে, আমার জীবন ও সেই ভাবে কাটিবে।” বাবা এই কথা শুনিয়া বলিলেন, “নলিন, তোমার মনের কথা আমি বুঝিয়াছি। ইহার উপর আমার মতামত প্ৰকাশ করা বড়ই কঠিন।” মা বলিলেন, “তবে কি আমার অদৃষ্ট সুখ নাই ? সোণার মেয়ে কমল, তার এই অদৃষ্ট ; তার পর তোমার এই পণ। আমার কি আর সাধআহলাদ করিতে ইচ্ছা হয় না ? না বাবা, এমন ইচ্ছা করিও না । বিবাহ করা, বউ আসুক। আমার কমল ও তাতে সুখী হইবে । কমল আমার কোথাও যায় না, কাহারও সঙ্গে মেশে না । যদি একটা বউ আসে, তবে তার সঙ্গে গল্প, আমোদ-আহলাদ করে তার জীবনটা বেশ কেটে যেতে পারে।” এমন সময়ে তামাক লইয়া হরিদাসকে আসিতে দেখিয়া আমি YVe