পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু আমি পাইব বাইশ টাকা ; পূর্বের হেডমাষ্ট্রীরের সঙ্গে স্কুলের কৰ্ত্তাদের এই প্ৰকারই বন্দোবস্ত ছিল ; কিন্তু বাইশ টাকাও আমার হস্তগত হইবে না । ভবিষ্যতে মোক্তায় হইবার আশায় বিদায়-প্ৰাপ্ত হেডমাষ্টার বলিলেন, তাহাকে চারিটি করিয়া টাকা দিতে হইবে, নতুবা তিনি আমা অপেক্ষা যোগ্যতর লোককে তাহার সিংহাসনে বসাইয়া যাইবেন । তথাস্তু ; স্কুলের খাতায় ত্রিশ টাকা লিখিয়া নগদ সতর টাকা পনর আনা লইয়াই সন্তুষ্ট থাকিতে হাইত,-চারিটি পয়সা রসিদ-ষ্ট্যাম্পের দাম । শশী বলিলেন, পনির ষোল টাকার কমে তাহার ঢাকার খরচ চলিবে না। আমিও তাহাই স্বীকার করিলাম। আঠার টাকা এবতনের ষোলটি টাকা ভাইয়ের পড়ার খরচ দিতাম ; বাকী এক টাকা পনর আনায় সংসার চালাইতে হইত । না হয় উপবাস করিব, কিন্তু তা বলিয়া ত শশীকে মুর্থ করিয়া রাখিতে পারি না। পল্লীগ্রামে আয়ের অন্য উপায় নাই। অগত্যা আমার স্ত্রীর সহিত পরামর্শ করিতে বসিলাম ; সমস্ত ব্যবস্থা তাহাকে খুলিয়া বলিলাম। আমার স্ত্রী বড়-মানুষের মেয়ে নহেন, মধ্যবিত্ত গৃহস্থের কন্যা । বিবাহের সময় আমার শ্বশুর আমার স্ট্রীকে প্ৰায় হাজার টাকার অলঙ্কার দেন, আমার পিতা ও সেই সময়ে পাঁচ ছয় শত টাকার অলঙ্কার দেন। এই দুরবস্থায় পড়িয়া আমার স্ত্রী বলিলেন “তোমার ভয় কি ? স্কুলের বেতনের টাকাটা সবই ঠাকুরপোকে দাও । ঠাকুর-পো যতদিন পড়িবে, ততদিন আমরা আমার গায়ের অলঙ্কার বিক্রয় করিয়া সংসার চালাইব । ঠাকুর-পো যদি ভাল «υ ο