পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া পাশ হইতে পারে, তাহার বড় চাকুরী মিলিবে ; তখন দেড় হাজার কেন, তিন হাজার টাকার অলঙ্কার গড়াইয়া লইব ।” আমার স্ত্রীর গায়ে একখানিও অলঙ্কার নাই, পাঁচ বৎসর শশীকে পড়াইতে ও সংসার চালাইতে প্ৰায় দেড় হাজার টাকা খরচ হইয়া গিয়াছে । আমার স্ত্রী অমানবদনে আমার বুকের পাজরার মত এক একখানি করিয়া অলঙ্কার বাহির করিয়া দিয়াছেন, আর আমি দীর্ঘনিশ্বাস বুকে চাপিয়া তাহা বাজারে বেচিয়া সংসার-খরচ চালাইয়াছি । আমার একমাত্ৰ আদরিণী কন্যা সুপ্রভার গায়ে একখানি অলঙ্কারও নাই। পাঁচ বৎসরের মেয়ে দুইগাছি কাচের চুড়ী হাতে দিয়াই থাকিত। পাড়ার লোকে কিছু বলিলে আমার স্ত্রী গম্ভীরভাবে বলিতেন, “আর দুদিন যাক না, ওর কাকা ওকে সোণায় ঢাকিয়া দিবেন ; চিরুদিন কারও न ब्रू ° ১৮৯৩ সালে শশী ডিপুটী-পরীক্ষায় পাশ দিলেন। সেই বৎসরই কলিকাতার এক বড়-মানুষের মেয়ের সঙ্গে তাহার বিবাহ হইল। বিবাহ করিয়া স্ত্রী-সঙ্গে শশী একবারমাত্র দেশে আসিয়াছিলেন। বিধুমাতা আমাদের গরীবের সংসার দেখিয়াই নাসাকুঞ্চিত করিয়া বলিয়াছিলেন, “ওমা, একি ভদোরলোকোয় বাড়ী গা ? এ জঙ্গলে কি মনিন্তি বাস কত্তে পারে ?”-তিন দিন পরে বধুমাতাকে লইয়া শশী। পৈত্রিক ভদ্রাসন পরিত্যাগ করিলেন, NÖY )