পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাষ্টার বিধুভুষণ ঘোষের কনিষ্ঠ ভ্রাতা, স্বৰ্গীয় রামব্ৰহ্ম ঘোষের পুত্র, সে কথা শ্ৰীমান একেবারেই ভুলিয়া গিয়াছেন। ডিপুটী হওয়ার পর প্ৰথম দুই এক বৎসর আমি তঁহাকে দেখিতে যাইতাম । কি করিব, আমার প্রাণের টান ! আমি যে আমার বুকের রক্ত ঢালিয়া তাহাকে মানুষ করিয়া তুলিয়াছি। তাহার উপেক্ষায় কি আমার স্নেহ শুকাইয়া যাইবে ? আমি শশীর সাহায্যপ্রার্থী নহি, কিন্তু তাহার গৌরবে পুলকিত না হইব কেন ? তাহাকে দেখিলে আমার প্রাণ আনন্দে নাচিয়া উঠিত। কিন্তু শশীর বাসায় গিয়া তেমন আমল পাইতাম না ; তাহার শ্যালক, শু্যালক-পুত্র, শুঙ্গালিকা-পুত্ৰ, মামা-শ্বশুর। প্রভৃতি নিকটতম কুটুম্ববৰ্গ অত্যন্ত নিবিড়ভাবে তাহাকে ঘিরিয়া বসিয়াছে! আমি তাহার জ্যেষ্ঠ সহোদর ; আমি সেখানে আমল পাইব কেমন করিয়া। কুটুম্ব-মহাশয়েরা আমার যাতায়াতটা বড়ই প্রতিকুল চক্ষে নিরীক্ষণ করিতেন। একদিন শুনিলাম বধুমাতা দাসীর নিকট মন্তব্য প্ৰকাশ করিতেছেন, “বাড়ী-ঘর-দোর ফেলে এখানে নিত্যি-নিত্যি মোড়লি করতে আসা কেন ? আমরা ক-দিন ওঁর দোরে পাতড়া মারতে যাই!” বড়লোকের মেয়ের কি ইত্যর মনোবৃত্তি ! হায় স্বামীসোহাগিনী, তুমি কিরূপে জানিবে যে, একদিন সংসারে দাদা ভিন্ন শশীর আর কেহ ছিল না । সেই শশী আজ সকল পাইয়াছে, তাই দাদার আত্মীয়তা অসহ্য হইয়া উঠিয়াছে। আচ্ছা, তাহাই হউক। আমি শশীর গৃহে যাতায়াত বন্ধ করিলাম। মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিলাম, শশীর কাছে আর [ ৩৩