পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কোনও ধন্যবান মক্কেল দুই একজন জুনিয়ার ব্যরিষ্টারের আমদানি করিতেন। সেই জুনিয়ার যদি ‘ব্যাচিলার’ হইতেন, তাহা হইলে স্যাণ্ডেল সাহেব তঁহাকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া স্ত্রী-কন্যার সহিত তেঁাহার পরিচয় না করাইয়া ছাড়িতেন না। বাবুর্টিদের কাজ অনেক বাড়িয়া যাইত, এবং মুসলমান-পল্লীতে মুরগী ও আও দুলভ হইয়া উঠিত। কিন্তু তাহারা ডেপুটী-সাহেবের সোফীর সহিত শিষ্টাচার-সুলভ করমর্দন করিয়াই আতিথ্যের সম্মানরক্ষা করিতেন । অবশেষে অন্য উপায় না দেখিয়া মিঃ স্তাণ্ডেল এক বৎসরের ফালে গ্ৰহণ করিয়া কিছুদিনের জন্য কলিকাতার বাসেন্দা হইয়া বসিলেন। বিলাতফেরত যুবকদের সঙ্গে যে সকল ক্লাবের অধিক ঘনিষ্টতা, সেই সকল ক্লাবে যাতায়াত করিতে লাগিলেন ; বিলাতফেরতদের সঙ্গে বন্ধুতাস্থাপন করিয়া অনেককে বাড়ীতে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিতেও ক্ৰটী করিলেন না । এই উপলক্ষ্যে র্তাহার এক মাসের বেতন দশদিনে খরচ হইতে লাগিল। কিন্তু • বৃথা ব্যয় ! বিলাতফেরত সিবিলিয়ান, ইঞ্জিনিয়ার, ব্যারিষ্টার বা ডাক্তার দূরের কথা, প্রোফেসারের মত নিরীহ প্ৰাণীরাও মিস সোফীর আইবুড়ো নাম ঘুচাইতে অগ্রসর হইলেন না। দুই একটি ব্রিফ, শূন্য ব্যারিষ্টার ও রোগীশূন্য ডাক্তারকে তিনি একটু প্ৰলুব্ধ করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন ; তাঁহারা চক্ষুলজ্জায় ‘ই’ ‘না” কোনও জবাবই দেন নাই ; শেষে বাধ্য হইয়া বন্ধুমুখে জানাইয়াছিলেন, তাহার মেয়েট বর্ণে ও সামাজিক শিষ্টাচারে ভদ্রসমাজে আচল ! হতাশ হইয়া মিঃ স্যাণ্ডেলের ক্ৰোধ শতগুণে বৃদ্ধি পাইল ।