পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবশেষে তিনি একদিন ইণ্ডিয়ান ডেলি-নিউসের একটি স্তম্ভে পাঠ করিলেন, তিন দিন পূর্বে অখিলভূষণ বাগচী নামক একটি “যুবক মার্শোলিস হইতে ‘মিসিল” জাহাজে চড়িয়া বোম্বে নগরে অবতরণ করিয়াছেন । এই সংবাদপাঠে ডেপুটী সাহেব অনেকপরিমাণে আশ্বস্ত হইলেন। তিনি কৃতবিদ্য জামাতার অভ্যর্থনা করিবার জন্য বড়দিনের ছুটী উপলক্ষে স্ত্রী কন্যাকে লইয়া কলিকাতায় আসিলেন । কিন্তু কলিকাতারূপ সমুদ্র হইতে অখিলভূষণ নামক রত্নটি খুজিয়া বাহির করা সহজ নহে। অখিলের একটি আত্মীয় চাঁপাতলার একটা মেসে থাকিয়া কলেজে পড়িতেন। ডেপুটী সাহেব হাটকোণ্টে সজ্জিত হইয়া সেই মেসে উপস্থিত হইলেন। সেখানে শুনিতে পাইলেন, পূর্বদিন প্ৰভাতে বোম্বে মেলে অখিলভূষণ কলিকাতায় পহুছিয়াছিলেন, এবং সেই মেসেই আহারাদি শেষ করিয়া সেই রাত্রেই গোয়ালন্দ মেলে ঢাকায় চলিয়া গিয়াছেন । র্তাহার দাদা বিনয়ভূষণ বাবু ঢাকার কালেক্টরের অধীনে কেরাণীগিরি করিতেন । ডেপুটী-শ্বশুরের কৰ্ম্মস্থানে না গিয়া অখিলভূষণ ঢাকায় তাহার সহােদরের সঙ্গে আগে দেখা করিতে চলিয়া গিয়া - * নিয়া ডেপুটী সাহেবের সর্বাঙ্গে যেন কে সবলে বেত্ৰাঘাত কারণ। জামাতার অকৃতজ্ঞতার কথা স্মরণ করিয়া তাহার নিবিড়ম্মশ্ৰশোভিত কৃষ্ণবর্ণ মুখ পাংশুবৰ্ণ ধারণ করিল। এক মুহূৰ্ত্ত তাহার মনে পড়িল, তিনি ভ্ৰমে পড়িয়া গত তিন বৎসরে সাড়ে দশ হাজার 8