পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র দুইখানি পাঠ করিয়া ডেপুটী সাহেব অনেকক্ষণ পৰ্য্যন্ত করতলে মস্তকস্থাপন করিয়া কি ভাবিলেন ; তাহার পর পোষাক বদলাইয়া ভ্ৰমণে বাহির হইলেন। একটু অগ্রসর হইয়া কি ভাবিয়া আবার ফিরিলেন, এবং আরাদালীর হস্তে পত্র দুইখানি দিয়া তাহা সোফীকে প্ৰদান করিতে বলিলেন । স্থানীয় পোষ্টঅফিসে উপস্থিত হইয়া তিনি ঢাকায় টেলিগ্ৰাফী করিলেন,-যেন তাহার জামাতা একসপ্তাহকাল বিবাহ বন্ধ রাখেন । দুই তিন ঘণ্টা নদীতীরে পরিভ্রমণ করিয়া মস্তিষ্ক একটু শীতল হইলে ডেপুটী সাহেব বাঙ্গলোয় ফিরিলেন । ধীরে ধীরে সোফীর শয়নকক্ষে প্ৰবেশ করিয়া দেখিলেন, ঘরে একটা হারিকেন-লণ্ঠন মিটু মিটু করিতেছে--সোফী বিছানায় পড়িয়া বালিশে মুখ গুজিয়া কঁদিতেছে ; তাহার মাতা বিষগ্নভাবে শয্যাপ্ৰান্তে বসিয়া ८छ्न । Ο কোনও কথা না বলিয়া ডেপুটী সাহেব একখানি চেয়ার টানিয়া লইয়া সোফীর শিয়রে বসিলেন, এবং এবং ধীরে ধীরে সোফীর মাথায় হাত বুলাইতে লাগিলেন। সোফী সেই রোহকরষ্পর্শে আত্মসংবরণ করিতে না পারিয়া কঁাদিয়া উঠিল। : ডেপুটী সাহেব করুণাদ্র স্বরে বলিলেন, “কঁাদিস কেন মা ? তোর ত কোনও দোষ নাই। যদি কেহ অপরাধী হইয়া থাকে, ত সে আমি। তুই এখন কি কৰ্ত্তব্য স্থির করিয়াছিস ?” সোফী প্ৰথমে কোনও উত্তর দিল না । ডেপুটী সাহেব পুনর্বার [ &Q