পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্ত্রীর শ্ৰাদ্ধ পৰ্য্যন্ত রামদায়াল নিজেই রন্ধনাদির ভার গ্ৰহণ করিলেন । পিতা-পুত্রে অতিকষ্টে সংসারযাত্ৰা নিৰ্বাহ করিলেন । শ্ৰাদ্ধের সময়ে কৃষ্ণদয়াল বাবু তিনদিনের জন্য বাটীতে আসিলেন ;- সপরিবারে নহে, একাকী। শ্ৰাদ্ধশেষে রামদয়াল বাবু কনিষ্ঠ ভ্রাতার নিকট প্ৰস্তাব করিলেন, “তুমি অমরকে সঙ্গে লইয়া যাও । বাড়ীতে থাকিলে তাহার পড়াশুনাও হইবে না, দেখেশুনেই বা কে ? দুইটা ভাত দিবার ও লোক নাই।” প্ৰতিবেশীরা একটি বয়স্থা মেয়ে দেখিয়া দ্বিতীয় দার-পরিগ্রহের প্রস্তাব করিলেন । রামদয়াল একই কথা বলেন, “অমরনাথ বঁাচিয়া থাকুক।” কৃষ্ণদয়াল বাবু দাদার প্রস্তাবে অসন্মতি প্ৰকাশ করিতে পারিলেন না,-মনে মনে অনিচ্ছা থাকিলেও সম্মত হইলেন । রামদায়াল একমাত্ৰ পুত্ৰকে বৰ্দ্ধমানে পাঠাইবার আয়োজন করিতে লাগিলেন । কৃষ্ণদয়াল তিনদিন পরেই চলিয়া গেলেন ; যাইবার সময় দাদাকে বলিয়া গেলেন, তিনি যেন সমস্ত ব্যবস্থা করিয়া স্বয়ং অমরকে বৰ্দ্ধমানে রাখিয়া আসেন। আজ নয়। বৎসর অমরকে বুকে করিয়া মানুষ করিয়াছেন, এক দিনের জন্য চোখের আড়াল করেন নাই ; আমরকে বদ্ধমানে রাখিয়া আসিতে রামদায়ালের মনে বড়ই কষ্ট হইল ; কিন্তু কি করেন,- 5°ाग्र नाई । যাইবার কথা শুনিয়া অমর বড়ই বিষন্ন হইল। “বাবা আমি তোমার কাছেই থাকবাে। আমি ত বাবা দুষ্টভুমি করিনে!” একদিন বড়ই কারিতভাবে অমরনাথ পিতাকে এই কয়টি কথা বলিল । R )