পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার স্নেহময়ী ভগিনী সুরবালাকেও রামচরণ কম ভালবাসিত না, কিন্তু সুরবালার জন্য রামচরণের কোন আক্ষেপ নাই। সুরবালাকে রামচরণ “ননি’ বলিয়া ডাকিত । ননির জন্য সময়েঃ * সময়ে তাহার মন কেমন করিত ; কিন্তু ননি। সম্বন্ধে সে নিশ্চিন্ত ৪ । আমার ভগিনীপতি ভবেশ বাবু একজন বড় ডেপুটী । দুই হস্তে উড়াইবার মত পৈত্রিক-সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও তিনি কেন চাকুরী করেন, সে রহস্য আমি কখনও ভেদ করিবার চেষ্টা করি নাই । বোধ করি, রায়বাহাদুর খেতাবই তাহার একমাত্ৰ লক্ষ্য নহে। যাহা হউক, সুরবালা যোগ্যপাত্রেই পড়িয়াছে। সুরবালা সংসারের কত্রী, আমার ডেপুটীমাজিষ্ট্রেট ভগিনীপতি তাহাকে তঁাহার উপরওয়ালা ম্যাজিষ্ট্রেট অপেক্ষা অধিক ভয় করিতেন । শ আমি যে দিনের কথা বলিতেছি, সে দিন বৈশাখ মাস । অপরাহুে হঠাৎ মেঘ করিয়া বুট আসিল ; বাঙ্গালার সার্সীগুলা বন্ধ করিয়া, আমি একখান নেয়ারের খাটে শুইয়া শূন্যদৃষ্টিতে ঘরের কড়িকাঠের দিকে চাহিয়া কি ভাবিতেছিলাম, তাহা তখন কেহ আমাকে জিজ্ঞাসা করিলে ও বলিতে পারিতাম না । রামচরণ আমার মাথার কাছে বসিয়া, দেশে আমাদের বাগানে এবার কি পরিমাণে আম ফলিয়াছে, তাহারই আলোচনা লইয়া ব্যস্ত ছিল। সে কথা দুই একবার আমার কর্ণে প্ৰবেশ করিল,- শেষে রামচরণ উঠিয়া একটা জানালা খুলিয়া দিল, একটা জলের ঝাপটা ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ কৰেিল। রামচরণ জানালা বন্ধ করিয়া আমার পায়ের কাছে আসিয়া ev ]