পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লজ্জা ।” তাহার হাস্যময় মুখখানি হঠাৎ গম্ভীর হইয়া खेछैिन । * - আমি জানিতাম, রমণী কে। রমণী ভবেশ বাবুর কনিষ্ঠা সহোদরা ; রমণী বিধবা, সে সংবাদও রাখিতাম। পূর্বে আর কখনও ভবেশ বাবুদের বাড়ী যাই নাই। রমণীকে এই সৰ্ব্বপ্রথম দেখিলাম । কিন্তু কি দেখিলাম। এমন আর কখন দেখিয়াছি বলিয়া মনে হইল না । দেখিয়া বোধ হইল, ঘনকৃষ্ণ মেঘের ভিতর বিজলী খেলিয়া গেল ; সেই চকিত বিদ্যুতের আলোকে আমার বোধ হইল, আমার সতের বৎসরের আলোকহীন, উজ্জলতাহীন যৌবনের রুদ্ধকক্ষে একে যেন বাতি জালিয়া আলোকিত করিয়া গেল । তন দিন পরে ভবেশ বাবুর বাড়ী হইতে বিদায় লইয়া গাড়ীতে গিয়া উঠিলাম। কিন্তু দেখিলাম, তিন দিনের মধ্যেই আমার মনের মধ্যে একটা ঘোর বিপ্লব উপস্থিত হইয়াছে। বিপ্লবের কারণ ও বুঝিলাম, ফলও ভোগ করিতে লাগিলাম ; কিন্তু মন সংযত করিবার পক্ষে কোন যুক্তিই কাজে লাগাইতে পারিলাম না। রক্তমাংসের শরীর ভেদ করিয়া যে ছুরিকা মনের উপর দাগ বসাইয়া যায়—তাহার তীক্ষতা একটি মুহূৰ্ত্তেই হৃদয়ঙ্গম করিয়াছি।-রমণীকে ভুলিতে পারিলাম না। বাড়ী ফিরিয়াও রমণীর কথাই মনে জাগিতে লাগিল। সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিয়া গেল, মনকে নানা কাৰ্য্যে নিযুক্ত রাখিবার জন্য কত চেষ্টা করিলাম—কোনও ফল হইল না। নিজের মনের Vy