পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সঙ্গে যুদ্ধ করিয়া পরাজিত ও অবসর হইলাম। এক মাসও উত্তীর্ণ হইল না, আমি সুরবালকে দেখিতে আবার ভবেশ বাবুর বাড়ী চলিলাম। সত্যই কি সুরবালাকে দেখিতে ?-সুরবালার বিবাহের পর এক বৎসরের মধ্যে তাহাক দেখিতে ফাই নাই ; সে কথাও মনে পড়িল । আত্মসুখের জন্য আমাকেও আত্মপ্ৰবঞ্চনার দাসত্ব করিতে হইল । সে দিন প্ৰথমেই বাহিরের ঘরেই ভবেশ বাবুর সঙ্গে আমার আলাপ হইল। তাহার পর ভবেশ বাবু অন্দরের যাইবার জন্য উঠিলেন, গল্প করিতে করিতে চলিলেন, আমি তাহার অনুসরণ করিলাম । লাজা আসিয়া প্ৰতিপদে বাধা দিতে লাগিল । ভবেশ বাবু আমাকে লইয়া একেবারে তাহার শয়নকক্ষে উপস্থিত হইলেন । রমণী তখন টেবিলের উপর ঝুকিয়া পড়িয়া কি একখানি বহি পড়িতেছিল। দরজার সম্মুখে আমি, ভবেশ বাবু ভিতরে- রমণী পলাইতে না পারিয়া হঁপাইয়া উঠিল। মুখখানি অবনত করিল। আমি একবার তাহার মুখের দিকে চাহিলাম। তাহাতে এমন একটা সলজ কোমলতা মাখান ছিল যে,-আমার নূতন করিয়া মনে হইল, এ অপরূপ সুন্দরী। রমণী বিধবা ? বিধাতার এ কি বিচার ! সে দিন আমাদের পরিচয়ামাত্র । ক্রমে অধিক আলাপে রমণীর সঙ্কোচ দূর হইল। আমার নিকট তাহার কুষ্ঠিতভােব রহিল না ; আমি মধ্যে মধ্যে সুরবালাকে দেখিতে যাইতাম । আমাকে দেখিয়া রমণী কোন প্ৰকার হর্ষ প্ৰকাশ করিত না, নিজের গাম্ভীৰ্য্য দ্বারা