পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আপনাকে অবগুষ্ঠিত রাখিবার চেষ্টা করিত ; কিন্তু তাহার নয়নের ব্যাকুলতা সে লুকাইতে পারিত না ; অন্যমনস্কতা ঢাকিবার জন্য তাহাকে জোর করিয়া সকল কাজে মন দিতে হইত । পাঁচ ছয় মাস পরে কথায় কথায় রমণীর কাছে আমার মনের ভাব প্ৰকাশ করিলাম। রমণী ধীরভাবে সকল কথা শুনিল, কোনও উত্তর না করি মাথা নীচু করিয়া চলিয়া গেল। যাইবার সময় কেবল সে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া চলিয়া গেল । শরীর অবসন্ন, মন ভারাক্রান্ত, কোনও কৰ্ম্মে উৎসাহ নাই । বাবা আমাকে দারাজিলিং পাঠাইলেন ; রামচরণ আমার শুশ্রীষার জন্য সঙ্গে চলিল। দিনকতক বাড়ীর কোনও খবর পাই নাই । শেষে এক প্ৰিয়বন্ধুর পত্রে অবগত হইলাম, বাবার হাতের কাজকৰ্ম্ম বড় মন্দা, তিনি আমার বিবাহের জন্য একটি সুন্দরী মেয়ে খুজিতেছেন। বন্ধুর পত্র পাঠ করিয়া একটু হাসিলাম।-রামচরণ আমার কাছেই দাড়াইয়া ছিল। সে আমার হাসি দেখিয়া জিজ্ঞাসা করিল,- “পত্রে কোন সুখবর আছে না কি, খোকা বাবু?” আমি হাসিয়া বলিলাম, “বাবা যে আমার বিয়েয় যোগাড় কচ্ছেন, রামচরণ । ফলারটা বুঝি এবার খেলি ৷” রামচরণ হতাশভাবে মাথা নাড়িয়া বলিল, “আর ফলার ! তোমার যে গতিক-দেখিয়া আমার বড়ই ভাবনা হইয়াছে।” \-) দিন কত পরে দারাজিলিংএ একখানি পত্ৰ পাইলাম। অপরিচিত |-অক্ষর, দেখিয়াই স্ত্রীলোকের হস্তাক্ষর চিনিতে পারিলাম। Sy}