পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামদয়াল অনেক করিয়া ছেলেকে বুঝাইলেন। কাকার কাছে কোন কষ্ট হইবে না ; লেখাপড়া না শিখিলে কি চলে ?-অগত্যা অমর যাইতে স্বীকার করিল। উই মাতৃহীন অমরকে লইয়া রামদায়াল বাবু যথাসময়ে বৰ্দ্ধমানে কৃষ্ণদয়াল বাবুর বাসায় উপস্থিত হইলেন। কৃষ্ণদয়াল তখন বাসাতেই ছিলেন ; তাড়াতাড়ি উঠিয়া দাদার পায়ের ধূলা লইলেন। অমরকে বাড়ীর ভিতর পাঠাইয়া দিলেন । কৃষ্ণদয়ালের পত্নী অবসরপ্রাপ্ত সবজজ রামেন্দ্ৰ বাবুর কন্যা । সবজজের মেয়ে বলিয়া তাহার যথেষ্ট আত্মগরিমা ছিল, এবং কৃষ্ণদয়াল এম, এ, বি, এল, হইলেও জুনিয়ার উকীল বলিয়া পত্নী মনোরমা তাহাকে কৃপার চক্ষে নিরীক্ষণ করিতেন। তঁহার যাহা কিঞ্চিৎ পসার হইয়াছে, তাহা যে মনোরমার পিতার সই সুপারিসের জোরে, তাহা ভাবিয়া তিনি বিশেষ গর্বিতা ছিলেন । একদিন পাড়ার কোনও জুনিয়ার উকীলের স্ত্রী তাহদের বাড়ীতে বেড়াইতে আসিয়া তাহার স্বামীর ভাল উপাৰ্জন হইতেছে না, অথচ কৃষ্ণদয়াল বাবু তাহার পরে আসিয়াও বেশ পসার করিয়াছেন, বলিয়া কৃষ্ণ । দয়ালের প্রশংসা করিতে লাগিলেন । মনোরমার এ স্বামী-প্ৰশংসা ভাল লাগিল না । তঁহার স্বামী যে নিজের গুণে পাসার করিয়াছেন, এ কথা প্ৰতিপন্ন হইলে তঁাহার পসার যে কমিয়া যায় ! তাই তিনি বাধা দিয়া বলিলেন, “ভাগ্যি বাবা সবজজ ছিলেন, তাই ܘ ]