পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিয়া মনে হয়, তখন ভবেশ বাবুর বাড়ীতে গিয়া সুরবালার দুই বৎসরের ছেলে “বুড়া’কে কোলেপিঠে লইয়া আমোদ করি ।

  • একদিন অপরাহে বাড়ীতে বসিয়া পড়াশুনা করিতেছি, এমন সময় ভাবেশ বাবুর এক পত্ৰ পাইলাম ; তিন দিন হইতে রমণীর জম্বর-বিকারের লক্ষণ প্ৰকাশিত হইয়াছে। আমি আর স্থির থাকিতে পারিলাম না। সেই দিনই আমি রমণীকে দেখিতে ভবেশবাবুর বাড়ী যাত্ৰা করিলাম ।

পরদিন সন্ধার সময় ভবেশ বাবুর বাড়ীতে উপস্থিত হইলাম। রমণীর শয়নকক্ষে উপস্থিত হইয়া দেখিলাম, ভবেশ বাবু ও সুরবালা রমণীর শয্যাপ্ৰান্তে গম্ভীরভাবে বসিয়া আছেন । ডাক্তার আধঘণ্টা পূর্বে রমণীকে দেখিয়া গিয়াছেন ; জীবনের আশা আতি অল্প, রাত্রি কাটে কি না, সে বিষয়ে তিনি সন্দেহ প্ৰকাশ করিয়া গিয়াছেন । সব কথা শুনিলাম । রমণীর শয্যা প্ৰান্তে বিহবলভাবে বসিয়া ধীরে ধীরে সকল কথা শুনিতে পাইলাম। আমার বন্ধুে রক্তস্রোত স্তম্ভিত হইয়া গেল; ব্যাকুল-দৃষ্টিতে আমি একবার ইহলোকের পরপারের সেই যাত্রীর দিকে চাহিলাম। তখন রমণীর সংজ্ঞা বিলুপ্ত ; সেই দিন অপরাহ্ব হইতেই রমণী অজ্ঞান-আমি মাথায় হাত দিয়া সেই একই স্থানে একভাবেই বসিয়া রহিলাম ! সমস্ত দিনের পথশ্রমে দেহ অবসন্ন হইয়াছিল, মানসিক দুশ্চিন্তায় দেহের অবजांक ऊष्छ् कझिंझ cव्ब् ि। রাত্ৰি প্ৰায় একটার সময় একবার রমণীর জ্ঞানসঞ্চার হইল । মনে হইল, চারিদিকে চাহিয়া সে যেন কাহাকে খুজিতেছে। ۹و