পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি আর স্থির থাকিতে পারিলাম না, রামচরণকে সকল কথা-আমার জীবনের গুপ্ত ইতিহাস বলিয়া হৃদয়ভার লঘু করিলাম । আমার কথা শুনিয়া রামচরণ বঁটা দিয়া ফেলিল ; কথা কহিতে পারিল না। আমি হাত-পা ধুইয়া শয্যায় পড়িয়া এপাশ-ওপাশ করিতে লাগিলাম। প্ৰভাতের কিছু পূর্বে বোধ করি একটু তন্দ্ৰা আসিয়াছিল ;-তন্দ্ৰাঘোরে, স্বপ্ন দেখিলাম, রমণী আমার শিয়রে দাড়াইয়া বলিতেছে,-“আর সময় নাই, আমি চলিলাম !” চক্ষু মেলিয়া দেখিলাম, উন্মুক্ত গবাক্ষপথে অরুণের রক্তিমালোক আমার শয়নকক্ষে প্ৰবেশ করিয়াছে, বৃদ্ধ রামচরণ আমার শিয়রে বসিয়া সস্নেহে আমার মস্তকে হাত বুলাইতেছে।--জীবনটাকেই श्या दक्श्रि भग्न झझेंढ् । বাড়ীতে আর মন টিকিল না । বাড়ীতে চাবি লােগাইয়া, দাসদাসীদের বিদায় দিয়া আমি দেশভ্রমণের আয়োজন করিলাম । মূল্যবান জিনিষপত্ৰ যাহা কিছু ছিল, সমস্ত সুরবালার কাছে পাঠাইয়া দিলাম। কোম্পানীর কাগজ, অলঙ্কারপত্র, পৈত্রিক সম্পত্তির দলিলাদি সমস্ত সুরবালাকে দান করিলাম ; সঙ্গে সঙ্গে তাহাকে জানাইলাম, সংসারের সহিত আমার আর কোন ও সম্বন্ধ নাই ; যে কয়টি দিন পৃথিবীতে থাকিতে হইবে-দেশ পৰ্য্যটন করিব । রামচরণ স্বয়ং সমস্ত জিনিস ও আমার পত্র সুরবালাকে দিয়া আসিল । কিছু টাকাকড়ি ও রামচরণকে সঙ্গে লইয়া আমি এক সপ্তাহ ግ • ]