পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐশ্বৰ্য্যের পরিচয় দিতে লাগিলেন, আর সঙ্গে সঙ্গে তামাকু সেবন :- ঢালা সাজা খাওয়া, আবার সাজা খাওয়া ঢালা । বেচারা সমস্ত রাত্রির মধ্যে নিজেও নিদ্রা গেলেন না, আমাদিগকেও নিদ্রা যাইতে b দিলেন না । একে তামাকের গন্ধ, তাহার উপর হুকার সেই শ্রুতিসুখকর হুঙ্কার সমস্ত রাত্রি অবিশ্রান্ত চলিতে লাগিল । তাহারই • মধ্যে যদি বা সামান্য একটু তন্দ্ৰা আসে, তখনই সেই গুরুগম্ভীরস্বরে “মোশাই, ঘুমালেন নাকি ?” প্রশ্ন ! তাঁহার সেই রাজাবাদসহ বধকাহিনীর এমন ধৈৰ্য্যশীল শ্লোতা বোধ হয় তাহার তাঁবেদার কৰ্ম্মচারী ব্যতীত আর কাহাকে তিনি কখন পান নাই । আমি তাহার সমস্ত কথায় বিনা-প্ৰতিবাদে সায় দিয়া যাইতে লাগিলাম ; লোকটি আমার উপরে বড়ই প্ৰসন্ন হইলেন -এই প্ৰকুরে রাত্রি কাটিয়া গেল । প্ৰত্যুষে আমরা গোয়ালন্দ ঘাটে উপস্থিত হইলাম। এই স্থানে গাড়ী ত্যাগ করিয়া ষ্টীমারে উঠতে হইবে। গোয়ালন্দ নামটি যেমন চিরপরিচিত, স্থানটি তেমন হইবার যো নাই। যে সৰ্ব্বগ্রাসিনী পদ্মানদী গোয়ালন্দের ক্রোড়বাহিনী, তাহার কাছে আর কাহারও দৰ্প, কাহার ও অভিমান খাটে না ! ইংরাজের সমন্ত বিজ্ঞান, সমস্ত কৌশল, গোয়ালন্দের নীচে "পদ্মার গর্ভে মুখ লুকাইয়াছে। ১৮৬৯ অব্দ হইতে আজ পৰ্য্যন্ত ? পদ্মা সমভাবে পূর্ববঙ্গরেলওয়ে কোম্পানীর বিরুদ্ধাচরণ করিয়া আসিতেছে ; কত অর্থ যে ঐ রাক্ষসীর বিপুল উদরে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, তাহার সংখ্যা নাই। কোম্পানির ক্ষতিতে সাধারণের কিছু যায় আসে না, কিন্তু বহু ২-০ ᏄᎨ ]