পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিবার এই পদ্মার কোপে পড়িয়া সৰ্ব্বস্বান্ত হইয়াছে; জমাজমী, চমবশেষে বসতবাটী পৰ্যন্ত পদ্মার গর্ভে বিসর্জন দিয়া প্ৰকাণ্ড ১. পরিবার লইয়া সত্যসত্যই পথের ফকির হইয়াছে ; ॐांबद्ध करङ, জন বা অতুল বিভবের অধীশ্বর ও হইয়াছে। কিন্তু শেষোক্ত কথা গোয়ালন্দ অঞ্চলের লোকের প্রতি খাটে না, কারণ আজ এই সাতাশ আটাশ বৎসরের ইতিহাস আমরা যাহা জানি, তাহাতে পদ্মার আক্রোশ গোয়ালন্দের দিকেই ; অপরপারে। প্ৰকাণ্ড চর পড়িতেছে। এখন যে স্থানকে গোয়ালন্দ বলে, তাহার সঙ্গে পূৰ্ব্ব গোয়ালন্দের কোন সম্পর্কই নাই। স্থান কোথায় চলিয়া গিয়াছে, নামটি বরাবর চলিয়া আসিতেছে। ১৮৬৯ অব্দে যেখানে গোয়ালন্দ ছিল, তাহ্! এখন পদ্মার অপর পারে গ্রামরূপে পরিণত হইয়াছে। গোয়ালন্দের ইতিহাস লিখিবার জিনিস বটে ; কিন্তু বর্তমান প্ৰস্তাব সে জন্য নহে,-ঘাটে ষ্টীমারে বংশীধ্বনি আরম্ভ হইয়াছে ! আমরা নায়ায়ণগঞ্জগামী despatch ষ্টীমারে তাড়াতাড়ি উঠিলাম। আমরা কলিকাতা হইতে গন্তব্য-স্থানের টিকিট লইয়াছিলাম, গোয়ালন্দে আর আমাদিগকে টিকিট করিতে হইল না । আমাদের সঙ্গী পাটের মহাজন অপর ষ্টীমারে গেলেন, তিনি সিরাজগঞ্জের দিকে যাইবেন। আমরা সঙ্গে খাদ্যদ্রব্য কিছুই লইলাম না, কারণ বেলা ১১ টার সময় আমাদিগকে এই ষ্টীমার ত্যাগ করিতে হইবে। প্ৰকাণ্ড ষ্টীমার ক্রোকোডাইল গোয়ালন্দ ছাড়িল। আমরা পদ্মার শোভা দেখিতে দেখিতে চলিলাম। বন্ধটির নিকটে এ দৃশ্য নূতন নহে, আমার নিকটেও নহে। আমি জীবনের দীর্ঘ ( AO