পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক যুগ এই দূরপ্লাবী পদ্মার তীরে কাটাইয়াছি ; আমার জীবনের মধুর শৈশবকাল এই খরস্রোতার তীরে কত আনন্দে অতিবাহিৰ্ভূক্ত হইয়াছে। এই নদীর তীরে বসিয়া ভবিষ্যৎ-জীবনের কত সুন্দুর মনোমোহন আলেখ্য প্ৰস্তুত করিয়াছি ! সে দিন কোথায় চলিয়া গিয়াছে। এখন সুধু সেই স্বৰ্গ-স্বপ্নময় সময়ের স্মৃতির দংশনে মৰ্ম্মপীড়া অনুভব করি । বন্ধুর সঙ্গে যে দিন তাহার জন্মভূমির উদ্দেশে যাত্ৰা করি, তখন আমার জীবনের অতি শোচনীয় সময় ; আমার সংসার-বন্ধন তখন ছিড়িয়া গিয়াছে। যেখানে-সেখানে, যেন-তেন-প্রকারে দিন কয়টা কাটিয়া গেলেই আমি অব্যাহতি পাই । ‘পদ্মার সেই স্থির গভীর শোভা অনুভবু করিবার শক্তি তখন ? আমার অপহৃত হইয়াছে ;-আমি তখন একটা প্ৰাণহীন আবছায়ার মত ঘুরিয়া বেড়াইতেছি । এইস্থান হইতে আমাকে কিছু গোপন করিতে হইতেছে। আমরা যে ষ্টীমার-ষ্টেসনে অবতরণ করিলাম, তাহ পাঠকগণের নিকট বলিতে পারিতেছি না, এবং যে গণ্ডগ্ৰামে আমাদের এই ভ্রমণের পরিসমাপ্তি, নানাকারণে তাহার নামও ৱল্লা সঙ্গত মনে করিতেছি না। এই প্ৰস্তাব আদ্যন্ত পাঠ করিলেই আমার কথা পাঠক সহজেই বুঝিতে পরিবেন। ঠেসনে নামিয়াই দেখিলাম আমাদের জন্য একখানি ক্ষুদ্র নৌকা প্ৰস্তুত ; বন্ধু পূর্বেই বাড়ীতে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাই এই ক্ষুত্র তরণী আমাদের জন্য ষ্টীমারঘাটে অপেক্ষা করিতেছিল। wo