পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমরা কালবিলম্ব না করিয়া সেই নৌকায় উঠিলাম। নৌকার মাঝি বর্ষীয়ান ব্যক্তি, কিন্তু দাড়ি সবে একজন, সেও মাঝির একাদশবর্ষ বয়স্ক নাবালক পুত্র। এই দুইজনের উপর নির্ভর করিয়া আমাদের ক্ষুদ্র নৌকা তীরভূমি ত্যাগ করিল। মাঝি নৌকাচালনে এমনই কৃতকৰ্ম্ম এবং সেই নাবালক মাঝিপুত্ৰ ক্ষেপনী-নিক্ষেপে এমনই সিদ্ধহস্ত যে, নৌকা নাচিতে নাচিতে পদ্মাবক্ষে চলিতে লাগিল ! বন্ধু বলিলেন, “রামচরণ মাঝি দ্বিতীয় লোকটি না লইয়া একেল ঘোর দুৰ্য্যোগের মধ্যেও এই ছোট নৌকায় পদ্মায় পাড়ী জমাইতে পারে; আর তাহার দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় এমন দুদিন অনেক উপস্থিত হইয়াছে।” মাঝির মুখে তাহার adventurগ শুনিতে আমার বড়ই কৌতুহল হইল। তাহাকে অনুরোধ করায় সে তাহার নৌ-জীবনের আশ্চৰ্য্য কাহিনী বলিতে আরম্ভ করিল। আমি ক্ষুধাতৃষ্ণা ভুলিয়া তাহার অতুল সাহস, বিপুল বীৰ্য্যের বিবরণ শুনিতে লাগিলাম ; শুনিতে শুনিতে কখনও শরীর রোমাঞ্চিত হইতে লাগিল, কখন ইচ্ছা করিল সেই ধীরবিসন্তানকে আলিঙ্গন করি । যাত্রীর প্রাণরক্ষার জন্য কতবার সে ঘোর তুফাঙ্গেয়া” সময় উত্তাল তরঙ্গময় পদ্মাবক্ষে নিজের প্রাণের মায়া পরিত্যাগ করিয়া কাপ দিয়াছে। একবার একটি বিধবার একমাত্র অবলম্বন একটি ছেলেকে মধ্য-পদ্মা হইতে কিনারা পৰ্য্যন্ত আনিয়া তাহার মায়ের কোলে দিয়াছিল। ঘোর দুদিনে যখন নদীর মধ্যে কোন নৌকা ডুবিয়া যাইত, তখন রামচরণ তাহার ঐ ক্ষুদ্র নৌকা লইয়া একাকী নৌকা-ডুবি লোকদিগের উদ্ধারের s V | br>