পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফেলিয়া রাখিয়াছিলেন—তবুও সবে তিন চারি বৎসরের বড় এবং দুইবার এলে ফেল। আমার মনে একটু আঘাত লাগিতা। বাসার অন্যান্য ছেলেরা পাড়া গেয়ে বলিয়া নাক শিটুকাইত, তাহাতেই যেন আমার মনুষ্যত্ব নামক পদার্থটা বেশ একটু আহত হইত ; তাহার পর জীবন ভাণ্ডারীর ছেলেও যে আমাকে নিতান্ত নাবালক, বোকা বলিয়া উপেক্ষা করিত, তাহা আর প্রাণে সহিত না । দাদাকেই তিনি তাহার সমকক্ষ বলিয়া মনে করিতেন । আমার দাদাও ত খুব লোক ; তিনি মহেন্দ্ৰবাবুকে সকল বিষয়েই বাড়াইয়া দিতেন। দাদার মত এম, এ, পাশ করা একজন বিদ্বান ব্যক্তি যে মহেন্দ্র বাবুর প্রতিভার পরিমাণ করিতে পারিয়াছেন, ইহাতে র্তাহার বড়ই আত্মপ্ৰসাদ লাভ হইত। আমি কিন্তু ভাবিতাম শ্বশুরবাড়ীর গ্রামের লোক বলিয়াই দাদা মহেন্দ্ৰ বাবুর প্রতিভার জ্বলন্ত অগ্নিতে ঘৃতাহুতি দিতেন এবং পরোক্ষভাবে মহেন্দ্ৰ বাবুর পরীক্ষার দ্বারে অর্গলবদ্ধের ব্যবস্থা করিতেন। মহেন্দ্ৰবাবু মধ্যে মধ্যে দাদাকে দুই একটি স্বরচিত কবিতা পড়িয়া শুনাইতেন ; সুর করিয়া, হ্রস্ব-দীর্ঘ উচ্চারণ করিয়া, চোক মুখ টানিয়া কবিতা পাঠ করিতেন। কবিতা শেষ হইলে দাদা qfacer “co-sublime " আমি মনে মনে বলিতাম, এ পাপ বিদায় হবে কতক্ষণে। শ্বশুরের গ্রামের সকলই কি sublime ! কথাটা বাড়ীতে গিয়া বৌদিদিকে জিজ্ঞাসা করিতে হইবে। মহেন্দ্ৰ বাবু আমার কিন্তু এক উপকার করিয়াছিলেন। পূর্বেই বলিয়াছি, প্রথম প্রথম কলিকাতায় আসিয়া মহেন্দ্র বাবুর [ ৯৩