পাতা:ছোট কাকী ও অন্যান্য গল্প - জলধর সেন.pdf/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যা দেখিয়া আমার মনটা কেমন দমিয়া গিয়াছিল। আমি তখন স্থির করিয়াছিলাম, কলেজের পড়া গোছান হইয়া গেলে, ইংরাজকবিগণের বই এক একখানি করিয়া পড়িব । আমি তাই পড়িতে আরম্ভ করিলাম। বাড়ী হইতে আসিবার সময় মা আমাকে ৫০টি টাকা দিয়াছিলেন। আমি সেই কয়টি টাকা দাদার হাতে দিই । নাই। সেই টাকা কিছু খরচ করিয়া বই কিনিয়াছিলাম, এবং বিশেষ মনোযোগের সঙ্গে সেই সব বই পড়িতাম ! যেখানে বুঝিতাম না, তাহাতে দাগ দিয়া রাখিতাম ; দাদাকে জিজ্ঞাসা করি।- তাম না, পাছে তিনি বিরক্ত হন ; মনে করিয়াছিলাম পূজার ছুটিতে বাড়ী গেলে বাবার কাছে জিজ্ঞাসা করিয়া লইব-বাবা সেকেলে সিনিয়ার স্কলার । । বড়ই বিপদে পড়িয়াছি । দাদা পরীক্ষা দিয়া দেশে চলিয়া গিয়াছেন। আমরা নূতন একটা বাড়ীতে মেস করিয়াছি। দাদা কলিকাতা ত্যাগের সময়ে তাহার এই নিতান্ত ভালমানুষ ভাইটিকে তাহার শ্বশুরবাড়ীর পরিচিত, দীর্ঘ কুঞ্চিত-কেশ, সোণার চসমাধারী কবিবর মহেন্দ্ৰনাথের হাতে সমৰ্পণ করিয়া গিয়াছেন। এখন আমি আর মহেন্দ্র বাবু এক ঘরে থাকি। দিন নাই, রাত্ৰি নাই, সকাল নাই, সন্ধ্যা নাই, মহেন্দ্র বাবুর কবিতার জালায় আমি অস্থির। একে কবির প্রতিভা, তাহার পর মুক্লবৰীয়ানার প্রভাব, আমি একেবারে অতিষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছি। সেই ৪৫ a8)